শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

ডিজিটালের সুবিধা জনগণ কবে পাবে?

ড. অজয় কান্তি মন্ডল | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে ডিজিটাল সেবার কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু এই ডিজিটাল সেবা পেতে জনগণের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। জন্ম সনদ প্রতিটি ব্যক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল। প্রতিটি শিশুর জন্মের পরে সঠিক তথ্য দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করা সকল পিতামাতার নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের দেশে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের উদাসীনতা বা অবহেলা করতে দেখা যায়। যতদিন পর্যন্ত এই সনদের প্রয়োজন না পড়ে ততদিন কেউ এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। সরকারের পক্ষ থেকে সন্তান জন্মের সাথে সাথে নিবন্ধন করার তেমন কড়াকড়ি কোনো নিয়ম না থাকায় অভিভাবকদের কেউ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চায় না। বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রে স্কুলে ভর্তির সময়ে জন্ম সনদের প্রয়োজন পড়ে। আর সেই সময়ে অভিভাবকদের মধ্যে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করার হিড়িক পড়ে।

ঠিক তখনই অভিভাবকরা বাচ্চার বয়স কমানোর জন্য সঠিক জন্মসন ব্যবহার না করে নিজেদের মনগড়া একটি সন ব্যবহার করে। আমার জানা মতে, জন্ম নিবন্ধনের সময়ে বাচ্চার জন্ম সম্পর্কিত তেমন কোনো তথ্য চাওয়া হয় না। ফলে হরহামেশায় এই কাজটি ইউনিয়ন পরিষদে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এমন নীতিমালা থাকা উচিত ছিল যে, কোনো শিশু জন্মগ্রহণের এক সপ্তাহ বা সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। বিশেষ কোনো কারণ ব্যতীত শিশুর জন্ম নিবন্ধনে বিলম্ব হলে নির্দিষ্ট হারে বিলম্ব ফি দিয়ে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত যিনি গ্রাহককে নিবন্ধনের জন্য সাহায্য করবেন তাঁকে অবশ্যই শিশুর জন্মের সঠিক তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রয়োজনে বাচ্চার টিকা প্রদানের কার্ড, কোনো ক্লিনিকে বাচ্চার জন্ম হয়েছে সেখানে ভর্তির যাবতীয় তথ্য দিয়ে গ্রাহক নিবন্ধনে সাহায্যকারী ব্যক্তিকে সাহায্য করবেন। অভিভাবক তথা শিশুর পিতামাতা সঠিক তথ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে হবে। যদি ইচ্ছা পূর্বক কেউ বাচ্চার বয়স কমানোর জন্য জন্মতারিখ পিছিয়ে নিয়ে আসে তাহলে এটি নিশ্চিত একটি অনৈতিক কাজ। এটি ভবিষ্যতে বাচ্চার মধ্যে নেতিবাচক ধারণা এনে দেবে। প্রত্যেকের বোঝা উচিত, প্রতিটি শিশুর সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য, জাতীয় তথ্য ভান্ডারে জমা রাখার জন্য স্বচ্ছতা একান্তভাবে প্রয়োজন, যাতে করে পরবর্তীতে সরকারের ডিজিটাল সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে শিশুটির কোনরকম প্রতিবন্ধকতা বা জটিলতার শিকার হতে না হয়।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির অনেকগুলো পরিচিতি পত্র দেখেছি। যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি। এছাড়াও কেউ যদি বয়স্ক হয় তাহলে তাঁকে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য বয়স্ক ভাতা কার্ড, প্রতিবন্ধী হলে তার জন্য কার্ড, আরও অনেক প্রকার কার্ডের প্রচলন আছে। যেগুলোর প্রতিটি পেতে গেলে গ্রাহককে লাগামহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার মাঝ দিয়ে বহু সুবিধাভোগী নিজেদের আত্মীয়স্বজন বা নিজেদের পছন্দমত লোকদের এসকল সুবিধা দিয়ে থাকে। মাঝ দিয়ে প্রকৃত ভুক্তভোগীরা তাঁদের নায্য অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এটি প্রতিটা ইউনিয়ন পর্যায়ে খুবই সাধারণ একটি ঘটনা।

কিছুদিন আগে দেখেছিলাম, জন্ম সনদ করতে গিয়ে জনগণের ভোগান্তি নিয়ে বেশ কিছু পত্রপত্রিকার শিরোনাম হয়েছিল। পরে জানতে পারলাম, সকলের জন্ম সনদ ডিজিটাল করতে হবে। বাচ্চার জন্ম সনদ ডিজিটাল করতে হলে বাবা মায়েরও বাধ্যতামূলক ডিজিটাল জন্মসনদ লাগবে। পরবর্তীতে অবশ্য নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ডিজিটাল দেশে ডিজিটাল সনদপত্র থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিষয়টিকে কেন পূর্বে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সেটা সকলের প্রশ্ন। ভালোভাবে মনে আছে, উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময়ে আমার জন্ম সনদ করা হয়। হাতে লেখা এই সনদের কপি দেখলে নিজেরই ভয় লাগে। হাতের লেখা দেখে সহজেই বুঝলাম যিনি লিখেছিলেন তিনি অল্প সময়ে বেশি সংখ্যক কপি লিখে শুধু সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বেশ তাড়াহুড়ো করে এই সনদ লিখেছিলেন। সবমিলিয়ে গোটা ত্রিশ মতো শব্দ জন্ম সনদের ফর্মেট সম্বলিত একটি কাগজে ভদ্রলোক লিখেছেন। যার ভিতর তিনটা বানান ভুল আছে। আমার ক্ষেত্রে এই জন্ম সনদের অবশ্য কোনদিন প্রয়োজন পড়েনি। কেননা, তার আগের মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদ বা পাসপোর্টে নিজের জন্ম তারিখের পাকাপোক্ত দলিল আছে। কিন্তু আমার মনে হয়, সরকার যে সময় থেকেই জন্ম সনদ নিয়ে চিন্তা করেছে, সেই সময় থেকে সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে পদক্ষেপ নিলে এই ভোগান্তির স্বীকার কেউই হতো না।

ডিজিটাল দেশে একজন ব্যক্তির কয়টি ডিজিটাল পরিচয় পত্রের প্রয়োজন আছে, সেটি নিয়ে আমার মনে বিস্ময় জাগে! সন্তানের ডিজিটাল জন্ম সনদ করতে গিয়ে যদি বহু পূর্বে বানানো বাবা মায়ের জন্ম সনদও ডিজিটাল করা লাগে এবং সেটি করতে জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্র, যেটি কিনা বর্তমানে স্মার্ট আইডি কার্ড নামে পরিচিতি লাভ করেছে সেটির কী প্রয়োজন ছিল, এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাই না। আর যদি কয়েক বছর পরে এসে বাবা মায়ের জন্ম সনদও ডিজিটাল করা লাগে তাহলে হাতে লেখা সনদ প্রদানের সময়ে কেন এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা বা গবেষণা করা হয়নি, সেটাও প্রশ্ন থেকে যায়। দেশের প্রতিটি জনগণের শুধুমাত্র একটি নির্ভুল এবং তথ্যবহুল পরিচিতি পত্র বা আইডি কার্ড থাকবে সেখানে যাবতীয় তথ্য যোগ করা যায়। এটি ডিজিটাল দেশের প্রধান এবং প্রথম ক্রাইটেরিয়া হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তা না হলে স্মার্ট আইডি কার্ড থাকার সত্ত্বেও ডিজিটাল জন্ম সনদের প্রয়োজন পড়ত না।

সরকারি যত সেবা সাধারণ জনগণ পেয়ে থাকে তার সবকয়টিতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার জনগণের হতে হয়। জাতীয় পরিচয় পত্র তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভুলে ভরা এই জাতীয় পরিচয় পত্র করার পরে তার সংশোধন করতে গিয়ে হয়রানি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু এসব অনাকাক্সিক্ষত ভুলের জন্য সাধারণ জনগণের কোনো হাত ছিল না। জনগণের থেকে কর্তৃপক্ষের নেওয়া তথ্যের কোনরকম যাচাই বাছাই ছাড়া ইচ্ছামত নাম, বাবার নাম, মাতার নাম, গ্রাম বা পোস্টের নাম বসিয়ে মাথাপিছু কার্ডের সংখ্যা অনুযায়ী টাকা তাঁরা পকেটে ঢুকিয়েছে। আবার যখন অন্যান্য কার্ড, যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি করতে হয়েছে সেখানে জাতীয় পরিচয় পত্রের বাইরে কোন তথ্য দেওয়া হয় না। তাই সেটি ভুল অথবা সঠিক যাই হোক না কেন। সেক্ষেত্রে যদি নির্ভুল তথ্য দেওয়া লাগে তাহলে আগে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে হবে। তখনি গ্রাহক ছুটছে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের পেছনে এবং এই সংশোধনের জন্য পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সরকার যখন জাতীয় পরিচয় পত্র কেন্দ্রিক এতসব কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তখন নিশ্চয়ই নীতি নির্ধারকদের ভেবে চিন্তে সেটার সুদূরপ্রসারী প্রভাব সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তখন এর পেছনে যথেষ্ট বাজেট ও সময় ব্যয় করা হয়েছে। তাহলে তাড়াহুড়ো করে তথ্য সংগ্রহকারীর বেশি ফায়দা লোটার আশায় ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত অনাকাক্সিক্ষত এসব ভুলের জন্য জনগণ কেন হয়রানি পোহাবে? ভুল করেছে তথ্য সংগ্রহকারীরা এখানে সাধারণ মানুষের কোনরকম হাত নেই। কেননা, তথ্য ইনপুট দেওয়ার পরে স্ব স্ব ব্যক্তির থেকে সেসব তথ্য সঠিক আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করা হয়নি। যেহেতু ডিজিটাল আইডি কার্ড, সেহেতু এই কার্ড করার আগে গ্রাহকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের পরে অনলাইনে সেটি গ্রাহকের এপ্রুভ করার অপশন থাকাটা উচিত ছিল। তাহলে মানুষের অহেতুক হয়রানি নিঃসন্দেহে কম হতো।

এখন আসি ডিজিটাল দেশের সনাতনী এক পদ্ধতি নিয়ে। পাসপোর্ট অফিসের ঘুষ বাণিজ্যের কথা না বলে শুধু বলতে চাই পাসপোর্ট করার আগে গ্রাহকের পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়টি কি খুবই জরুরি? পুলিশ ভেরিফিকেশনে আসলে কি যাচাই করা হয়, সেটি সম্পর্কে আমি আজও জ্ঞাত নই। গ্রাহক থেকে পুলিশের পকেটে কিছু টাকা যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো তথ্য যায় কিনা সেটাও আমার জানা নেই। এক্ষেত্রে সম্প্রতি যারা পাসপোর্ট করেছেন তাঁদের থেকে তথ্য নিয়ে নীতি নির্ধারকদের উচিত সিস্টেমের পরিবর্তন করা।

ডিজিটাল দেশের ইন্টারনেট সেবার মান নিয়ে মানুষের বহু অভিযোগ আছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, চীন কোথাও গ্রাহককে ইন্টারনেট কিনে ব্যবহার করা লাগে না। সেখানে আনলিমিটেড ইন্টারনেট মোবাইল সিম কার্ডে গ্রাহক পেয়ে থাকেন। ইন্টারনেট সহজলভ্য না হলে কীভাবে সরকারের ডিজিটাল সেবা জনগণ পাবে। সেটা ভাববার বিষয়। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট উল্টো। এখানে ইন্টারনেট বেশ উচ্চ দামে কিনতে হয়, যার ব্যবহারেরও আবার ধরাবাঁধা নিয়ম আছে। মোবাইল কোম্পানির কাছে প্রতিটা গ্রাহক একরকম জিম্মি বলা যায়। যেখানে লোভনীয় অফার দিয়ে কোম্পানি গ্রাহকদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কিছুদিন আগে মোবাইলে কিছু টাকা রিচার্জ করি। সেই টাকা মেইন ব্যালেন্সে যোগ হয়নি উল্টো আমাকে মেসেজ দিয়ে জানানো হয়েছে, আপনার ক্রয়কৃত ৩ জিবি ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। আমি তো অবাক! কথা বলার জন্য ২৫০ টাকা রিচার্জ করেছি, কোনরকম ইন্টারনেট কেনার জন্য নয়। কেন মোবাইল কোম্পানি গ্রাহকের কোনরকম সম্মতি ছাড়া এই টাকার বিনিময়ে ইন্টারনেট দেবে? এরপর চেষ্টা করলাম হেল্প লাইনে কথা বলার। কিন্তু কোনরকম সুরহা হলো না। তখন বুঝলাম, মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে দেশের মানুষ কতটা অসহায়। ইন্টারনেট সেবায় মোবাইল কোম্পানিগুলোর কথিত ফোর জি বা ফাইভ জি সেবার কথা প্রচলিত থাকলেও সমগ্র দেশের বিভাগীয় শহরগুলোই ভালোভাবে কভারেজ দিতে ব্যর্থ। সেখানে গ্রামের কথাতো বাদ দিলাম। গ্রামবাংলার এই দেশে শুধুমাত্র বিভাগীয় শহর বা রাজধানীতে ফোর জি কভারেজ দিয়ে সমগ্র দেশ ফোর জি এর আওতায়, এই কথা বলা একেবারেই যুক্তিসঙ্গত নয়। এই ফোর জি যে কতটা কাজের, সেটা গ্রামে আসলে বুঝতে পারা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে যেখানে ফোর জি হাতড়াতে হাতড়াতে দিন পার হয়ে যায়, সেখানে ফোর জি বা ফাইভ জি এর কথা তো প্রশ্নই আসে না।

একটি দেশকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনতে হলে প্রথমেই সকল জনগণের ইন্টারনেট সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে একজন নিম্ন আয়ের মানুষও নামেমাত্র মূল্যে বা বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পায়। ইন্টারনেটের গতি অতি উচ্চমাত্রার করা সম্ভবপর না হলেও অন্ততপক্ষে ব্যবহার উপযোগী মানের গতি থাকা বাঞ্ছনীয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে জনগণ এই সুবিধা পেলে আমরা কেন পাচ্ছি না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আমাদের মাথাপিছু আয়, জিডিপি সবকিছু তো এখন ঊর্ধ্বমুখী, তাহলে সুযোগ-সুবিধাসমূহও তো ঊর্ধ্বমুখী হওয়া উচিত।

ডিজিটাল সেবার অর্থ গ্রাহকের একটি আইডি কার্ড থাকবে। যেখানে গ্রাহকের সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। গ্রাহক যখন কোনো সেবা নিতে যাবে, সেটা যে ধরনেরই হোক না কেন, সকল তথ্য ওই এক কার্ডে সংরক্ষিত থাকবে। সেটা হবে পুরোপুরি নির্ভুল। এ কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে বা তথ্য দিয়ে একজন গ্রাহক ট্রেন, বাস, বিমানের টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করতে পারবে। নীতি নির্ধারকদের এসব বিষয় মাথায় নিয়ে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। বার বার মোটা অঙ্কের বাজেট প্রণয়নের চেয়ে একবারে এসব তথ্য নিখুঁতভাবে সংগ্রহ করে তথ্য ভান্ডারে জমা রাখাটা শ্রেয়। তাতে মানুষের ভোগান্তি কমবে। সেইসাথে জাতীয় যেসব সেবা বর্তমানে মানুষ পেয়ে থাকে, যেমন জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইত্যাদির সুফল পেতে যে দুর্ভোগ তা অনেকাংশই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।


লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
ajoymondal325@yahoo.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন