বিএনপির ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে হাসিনার পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না। সাধারণ জনগণ হাসিনা সরকারের পতনের সংবাদ শুনার অপেক্ষায় রয়েছে। সামনে সরকারের অবস্থা আরো করুণ হবে। চট্টগ্রামে সমাবেশ করে সরকারের কোমর ভেঙে দিয়েছি, বাকি ঢাকার সমাবেশে সরকারের পতন অনিবার্য হবে। গতকাল দুপুরে ফেনীতে বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের দেখতে এসে বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেনীর এ সংগ্রামী নেতাদের ওপর আক্রমণ করে আওয়ামী লীগ খুব একটা লাভবান হয়নি বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা চট্টগ্রামের সমাবেশ কি ঠেকাতে পেরেছে। এতো অত্যাচার, আক্রমণ পথে পথে বাঁধা, কোন কিছুই আমাদের সমাবেশকে ঠেকাতে পারেনি। আমি শুধু সমবেদনা জানানো বা আপনাদের অবস্থা দেখতে এখানে আসিনি, আমি আপনাদের তালিকা হাতে নিয়েছি সময়মত ওদের তালিকাও হাতে আসবে বেশিদিন লাগবেনা, কারণ ওদের তালিকা আমাদেরকে সংগ্রহ করতে হবে না, একটু অপেক্ষা করেন, সময়মত ওদের তালিকাও থানার পুলিশ আমাদের হাতে তুলে দিবে। কারণ সরকারের যখন পতন হয় তখন কেউ পাশে থাকেনা। হাসিনা পদত্যাগ না করলে আমরা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো। আহত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আপনারা ভাগ্যবান কারণ গণতন্ত্রের বিজয়ের পর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা হিসেবে আপনাদের নামের তালিকাও আমাদের কাছে সংরক্ষণে থাকবে। এ তালিকা করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ফেনী বিএনপি এ ঘটনার পরে আরো শক্তিশালী হয়েছে, কারণ ফেনীতে এমনিতেই একটি আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার, নির্যাতন হয়েছে। সভা-সমাবেশ করতে হলে অনেক বাঁধা বিপত্তি আসবে। আমরা যেহেতু একবার রক্ত দিয়েছি প্রয়োজনে আমরা রক্ত আরো দেব কিন্তু তোমাদের ফেনীর জনপদসহ সকল জনপদে আমরা সন্ত্রাসমুক্ত করবো এবং হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করবো।
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশে ফেনী থেকে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদেও হামলায় আহত ফেনী বিএনপির নেতাকর্মীদের সমবেদনা জানাতে গতকাল দুপুরে ছুটে আসেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-সম্পাদক প্রফেসর এম এ খালেক, এয়াকুব নবী, আলাউদ্দিন গঠন, গাজী হাবিব উল্লাহ মানিকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন