রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

যুবলীগ একাই বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যথেষ্ট

আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ লাগবে না, যুবলীগ একাই বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যথেষ্ট। আমরা এখনো মোকাবিলার ঘোষণা দেইনি। আমরা যদি মোকাবিলার ঘোষণা দিয়ে নামি তাহলে তারা পালানোর পথ পাবে না।

গতকাল মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শহীদ কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুবলীগ আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড। তাই যুবলীগের নেতাকর্মীদের বলবো সতর্ক দৃষ্টি রাখেবেন, যখন নির্দেশ আসবে তখনই জনগনকে নিয়ে এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি, শেখ রাসেলের চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। ২০১৩-১৪-১৫ সালে এমন বিশৃঙ্খলা করেছিল যে, গাছও তারা উপড়ে ফেলেছিল। মানুষের ওপর তো বটেই, গাড়ি, গবাদিপশু এমন কি মুরগির ওপরও তারা হামলা চালিয়েছিল। তাতে সরকার পতন হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার সেই আন্দোলন, নৈরাজ্য মোকাবিলা করেছে। আমরা জানি কিভাবে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হবে, যখন মোকাবিলা করার প্রয়োজন হবে আমরা থাকবো।

হাছান বলেন, ‹যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার সহধর্মিণী বেগম আরজু মনির লাশ যখন মেঝেতে পড়েছিল, ফজলে শামস পরশের বয়স তখন ৫ বছর এবং তাপসের বয়স সাড়ে তিন বছর। পরশ মা-বাবা হারানো কিছুটা বুঝতে পারলেও তাপস যিনি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সুযোগ্য মেয়র, মায়ের লাশ ধরে ধরে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে বলছিল- মা ওঠো ওঠো। মা-বাবা যে তার চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছে তা সে বুঝতে পারেনি। সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে এতো নির্মম অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল। আর সেই অপরাধের প্রধান কুশীলব ছিল খন্দকার মুশতাক, আর তার প্রধান সহযোগী ছিল জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের বিচার বন্ধ করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি হলো যখন জিয়াউর রহমান প্রধান সেনাপ্রতি, আর জিয়া ক্ষমতা দখল করার পর পার্লামেন্টে প্রথম অধিবেশনে তার নির্দেশে খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হলো› বর্ণনা করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‹একজন ডাকাতও যদি খুন হয়, একজন খুনীকেও যদি কেউ খুন করে তারপরও সেটার বিচার হয়। কিন্তু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি জাতিকে শ্লোগান শিখিয়েছেন-‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো›, ‹তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা- মেঘনা-যমুনা›, ‹তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, যে নেতা হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো বাঙালিকে সেই শ্লোগান শিখিয়ে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে পাঁচ হাজার বছরের বাঙালি জাতির ইতিহাসে বাঙালির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার হত্যাকান্ডের বিচার হবে না! শেখ রাসেলের হত্যার বিচার হবে না, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের হত্যার বিচার হবে না, শেখ কামাল, শেখ জামালের, তার নববধূকে হত্যাকান্ডের বিচার হবে না! এভাবে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল জিয়াউর রহমান আর আজকে তার তৈরি দল বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলে!

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন