হাতিয়া উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসানের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে ছাকায়াত হোসেন। গত রোববার প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারি প্রত্যেক শিক্ষকের সম্মানী ভাতার টাকা থেকে সে চাঁদা দাবি করে। দক্ষিণ রাজের হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মফিজ উদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষক তাকে ভাতার টাকা থেকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মফিজ উদ্দিনকে মারধর করে। এ ঘটনায় সকল শিক্ষক তীব্র প্রতিবাদ করে তার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে ছাকায়াতের যোগসাজশে আমার ওপর হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরার পথে শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছলে ৮-১০ জনের মুখোশধারী তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পওে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাতিয়া থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাকায়াতকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, তিনি ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন। হাতিয়ার থানার ওসি আমির হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে হামলাকারিদের গ্রেফতার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন