ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গভীর রাতে গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে ওয়ারেন্টভূক্ত এক আসামীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল সিকদার।
নিহত সুলতান বেপারী (৪৮) আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার মৃত মতি মিয়া বেপারীর ছেলে। তিনি ইটভাটার অংশিদার মালিক ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের এক স্বজন বলেন, এশিয়ান ব্রিকস নামে সুলতান বেপারীসহ কয়েকজন মিলে ইটভাটার করেছিলেন। কিন্তু অনুমোদন না থাকায় প্রশাসন ভাটাটি বন্ধ করে দেয়। ফলে এক সময় ব্যবসায়ীক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুলতান। পাওনাদারদের টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত একটি মামলা হয় আদালতে। সেই মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ছিলো সুলতান। পুলিশ রাতে আসছিল। কিন্তু বাসায় না পেয়ে পুলিশ চলে যায়। তার ধারনা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুলতান পলাতে গিয়ে হয়তো বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের প্রতি নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ নেই।
তবে সুলতানের ছোট ভাই নোমান বেপারী এই বিষয় নিয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।
মৃতের স্বজন ও প্রতিবেশী শাহিন বলেন, গভীর রাতে পুলিশ আসছিলো। তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ চলে যায়। বুধবার পরে সকাল ৮ টার দিকে আমরা দুইবাড়ির মাঝখানে নিচে সুলতানের মরদেহ দেখতে পাই। মুলত এই বিষয় নিয়ে আমরা আর কথা বলতে চাই না। আমাদের কোন অভিযোগও নেই।
এ বিষয়ে ওয়ারেন্ট তামিলকারী আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার বলেন, রাতে আসামীর টঙ্গাবাড়ি এলাকার বাড়িতে গেলে দীর্ঘসময় পর তার পরিবার দরজা খোলেন। আসামীকে না পেয়ে তাদের কাছে দু:খ প্রকাশ করে চলে আসি। পরে একই মামলার আরেক আসামী মিয়াজ উদ্দিনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসি। সকালে জানতে পারি ওয়ারেন্টভুক্ত সেই সুলতার বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল সিকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাতে পুলিশ বাড়িতে গেলে আসামী কৌশলে বাড়ির তিন তলার ছাদে অবস্থান নেয় ও সেখান থেকে পালানোর উদ্দেশ্যে পাশের বাড়ির ছাদে লাফিয়ে যাওয়ার সময় দুই বাড়ির মাঝে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছে। হয়তো রাতে তার পরিবার কোন খোঁজ করেনি। সকালে লাশ দেখতে পায় স্বজনরা।
তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন