শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তৃণমুল নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

নাঙ্গলকোট পৌর আ.লীগ নতুন কমিটির সভাপতি নিয়ে

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

অনুমোদন না হলেও কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালুর নাম সভাপতি হিসেবে রাখায় স্থানীয় আ.লীগের তৃণমুল নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নতুন কমিটিতে সামছুদ্দিনকে অনুমোদন দেওয়া হলে এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী হবে বলে মন্তব্য ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ সামছুদ্দিন জাতীয় পার্টি থেকে নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। এরপর তিনি আ.লীগের টিকেটে ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় দুই মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে (নাঙ্গলকোট উপজেলা তৎকালীন লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অংশবিশেষ অঞ্চলে) গঠিত শািন্ত কমিটির সসদ্য ছিলেন, সামছুদ্দিনের পিতা আলী আকবর। কুমিল্লার যুদ্ধাপরাধের দলিলপত্র নিয়ে লেখা ‘অপারেশন কিল এন বার্ন’ নামক বইতেও তার বাবা আলী আকবরের কথা উল্লেখ রয়েছে। বইতে ১৯৭২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র বাদী হয়ে দ্য বাংলাদেশ কোলাবরেটরস স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে লাকসাম থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি ছিলেন আলী আকবর। সেই মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।
এবিষয়ে আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে সামছুদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার বাবা কখনো রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি পাকবাহিনীর হাত থেকে এলাকার লোকজন এবং তাদেও বাড়িঘর রক্ষা করছেন। ওই সময়ে আ.লীগের পলিসি ছিলো শান্তি কমিটির সদস্য হয়ে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কাজ করা। স্থানীয় কিছু লোক হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে আমাকে অপমান এবং ছোট করার জন্য এসব অপপ্রচার করছে’। নাঙ্গলকোট উপজেলার মোকরা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন ভূঁইয়া বলেন, একাত্তরে যুদ্ধকালীন সময়ে নাঙ্গলকোট অঞ্চলে মাদার অর্গানাইজেশন ছিল শান্তি কমিটির সদস্যরা। তারাই ওই সময়ে রাজাকার, আলবদর, আলশামস তৈরি করেছিলো। কালু তার পিতা সম্পর্কে যে দাবি করেছেন, সেটা সঠিক নয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব অধ্যাপক ছাদেক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সামছুদ্দিনকে সভাপতি ও আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌরসভা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হবে বলে নীতি নির্ধারকরা বলেছেন। আমি এখনো কোন কমিটিতে স্বাক্ষর করিনি, কমিটি অনুমোদন হতে হলে আমার স্বাক্ষর লাগবে। নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সদস্য শাহজাহান মজুমদার বলেন, সামছুদ্দিনের বাবার ইতিহাস সবাই জানে। এসব নিয়ে আ.লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চাপাক্ষোভ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন