বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগমনবার্ষিকী পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের উদ্যোগে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের দ্যা এট্রিয়াম কনফারেন্স হলে গত ১৬ অক্টোবর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রান্ড মিলাদুন্নবী কনফারেন্স।
আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের প্রেসিডেন্ট আল্লামা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ গ্রান্ড কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহাদ্দিসে হিজায শায়েখ সায়্যিদ মুহাম্মদ বিন আলাওয়ী (রহ.) এর জামাতা, বিশ্বনবী (সা.) এর বংশধর, হযরত শায়েখ সায়্যিদ মা‘আন আল হাসানী আল-ইদ্রিসী, আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাইখুল হাদীস হযরত আল্লামা আবদুল জলিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হযরত আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, রাসূলে পাক (সা.) হলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তাঁর নসবকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পুত-পবিত্র রেখেছেন। তাঁর খান্দান, তাঁর আলোচনা এবং তাঁর মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম আল্লাহর রাসূলের জীবনকে প্রত্যক্ষ করেছেন, তাঁর আখলাক, তাঁর চরিত্র, তাঁর সৌন্দর্য, তাঁর মু‘জিযা সবকিছুই তাঁদের চোখের সামনে সংগঠিত হয়েছে। এজন্য তাঁদের জন্য আলাদাভাবে ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপনের প্রয়োজনীয়তা ছিলনা। তাঁদের জীবনের প্রতিটি মুহুর্তই ছিল ঈদে মীলাদুন্নবী। শত শত বছর পর এই উম্মত যখন নবীর আদর্শ, নবীর ভালোবাসা এবং নবীর অনুসরণ থেকে দূরে সরে গিয়েছে তখন তাঁদের মাঝে এই আদর্শ, ভালোবাসা এবং অনুসরণকে পূণরুজ্জিবীত করতেই ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, রাসূলে পাক (সা.) এর আদর্শে জীবন গঠনই ঈদে মীলাদুন্নবীর মূল শিক্ষা।
আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ হাসান চৌধুরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি মাওলানা খায়রুল হুদা খান ও কাউন্সিল মেম্বার হাফিয মাওলানা আনহার আহমদ এর যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন লাতিফিয়া উলামা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মাওলানা শিহাব উদ্দিন, দারুল হাদীস লাতিফিয়া নর্থওয়েস্টের প্রিন্সিপাল মাওলানা সালমান আহমদ চৌধুরী, বৃটিশ মুসলিম স্কুল বার্মিংহাম এর প্রিন্সিপাল মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুজতবা হাসান চৌধুরী, মুসলিম শারিয়াহ কাউন্সিল ইউকের হেড মুফতি মাওলানা মুফতি মারুফ আহমদ, দারুল হাদীস লাতিফিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল কাহহার, আল ইসলাহ ইউকের সেন্ট্রাল কাউন্সিল মেম্বার মাওলানা আবদুল আউয়াল হেলাল, মাওলানা ফয়সল আহমদ, মাওলানা আবদুল ওয়াসি আরিফ, মাওলানা রাফি আহমদ প্রমুখ।
কারী সুফিয়ান বিল্লাহ ও কারী নাবিল উদ্দীন খান এর কুরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমে সূচিত মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আল ইসলাহ ইউকের উপদেষ্টা আলহাজ বশির উদ্দিন, আলহাজ আরজু মিয়া, কারী আবদুল কাদির, হাজী আবদুর রহীম, আলহাজ ইমদাদ হোসাইন, চ্যানেল এস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাজ চৌধুরী, লাতিফিয়া ক্বারী সোসাইটি ইউকের প্রেসিডেন্ট মুফতী ইলিয়াস হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা মুফতী আশরাফুর রহমান, আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা ফখরুল হাসান রুতবাহ, মাওলানা ছাদ উদ্দীন সিদ্দিকী, মাওলানা হাফিয কয়েছুজ্জামান, লাতিফিয়া উলামা সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা আবদুল মালিক, জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা ফরিদ আহমদ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মাওলানা শামসুদ্দীন নূরী, সিরাজাম মুনীরা জামে মসজিদ বার্মিহামের পরিচালক হাফিয সাব্বির আহমদ, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক সভাপতি দুলাল আহমদ, সাবেক সভাপতি মাওলানা আখতার হোসাইন জাহেদ, স্থানীয় কাউন্সিলর সাঈদ আহমদ, মিয়ারবাজার শাহ চান্দ শাহ কালু আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল মুক্তাদির খান, আনজুমানে আল ইসলাহ গ্রেটার লন্ডন ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা মোঃ আবদুল কুদ্দুছ, সেক্রেটারি আলহাজ সদরুল ইসলাম, ইস্ট ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট আলহাজ আবদুস সালাম, সেক্রেটারি মিযান খান, ওয়েলস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট হাফিয মাওলানা ফারুক আহমদ, আলহাজ বদরুল ইসলাম, আফতাব আহমদ, কারী শরীফ উদ্দীন, হাফিয মাওলানা বাহলুল আহমদ, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, হাফিয আবদুল হাকীম, মাওলানা এমএ বাছিত আশরাফ, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, আলহাজ জসিম উদ্দীন, হাফিজ আসকির মিয়া, হাজী সিরাজ খান, মাওলানা বেলালুর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম, মাস্টার আবদুল মুহিত, শাহ কামরুজ্জামান, মোহাম্মদ রুহুল আমীন, হাফিজ আবদুল বাছিত, মাওলানা লুকমান আবদাল প্রমুখ।
বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে সুললিত কন্ঠে নাতে রাসূল (সা.) গেয়ে শ্রোতাদের মন ও মনন ইশকে রাসূলে ভরিয়ে তুলেন প্রখ্যাত নাশীদ শিল্পী মাওলানা কায়েদ উদ্দীন, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা আবদুল মুহিত, কারী আবুল খায়ের প্রমুখ।
গ্রান্ড কনফারেন্সে ইউকের বিভিন্ন শহর থেকে আনজুমানে আল ইসলাহর নেতা-কর্মী, উলামায়ে কিরামসহ সহস্রাধিক নবী প্রেমিক মুসলিম জনতা উপস্থিত হন। গ্রান্ড ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) কনফারেন্স উপলক্ষে রাসূলে পাক (সা.) এর উপর দশ মিলিয়ন দুরুদ পাঠের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং এতে ব্যাপক সাড়া মিলে এবং দশ মিলিয়ন এর বেশি দুরুদ পাঠের রিপোর্ট পাওয়া যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন