সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নাইক্ষ্যংছড়িতে ফের গোলাগুলি, নিরাপদে নেয়া হলো ১৫০ পরিবারকে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ১০:১৬ এএম

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনায় ছেড়ারমাঠ সীমান্ত এলাকার দেড় শতাধিক পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত গোলাগুলি বাড়তে থাকে সীমান্ত এলাকায়। মর্টার শেল এবং গুলির বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার সকালে ফের গুলির শব্দ শোনা যায় চাকঢালা ও দৌছড়ি সীমান্তের ওপারে। কিন্তু বিকেলের দিকে চাকঢালা সীমান্তের ৪৩ ও ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের ছেড়ারমাঠ এলাকায় গোলাগুলির পরিমাণ বেড়ে যায়। সীমান্তের ওপারে বিকট শব্দে মর্টার শেল এবং গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আতঙ্কিত দেড়শ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে অবস্থানকালে মনে হচ্ছিল, গুলিগুলো যেন মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পরও সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌসের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান বলেন, শনিবার সকালে দৌছড়ি সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে দুপুরের পর দৌছড়ি সীমান্তে আর গোলাগুলি হয়নি। দৌছড়ি সীমান্ত থেকে কোনো জনসাধারণকে সরানো হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, হেডম্যানপাড়া এবং দৌছড়ি ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে মিয়ানমার বাহিনীর দুই মাস ধরে সংঘাত চলছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ব্যবহৃত যুদ্ধ বিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। মাঝেমধ্যেই মর্টার শেলের গোলা এবং ভারী অস্ত্রের গুলি এসে পড়ছে ঘুমধুম সীমান্তে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উড়ে এসে পড়া মর্টার শেলের গোলা বিস্ফোরিত হয়ে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও ৫ জন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন