বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুষ্টিয়ায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ৩:৪০ পিএম

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গ্রেফতারকৃত রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইজিবাইক চালক চাঞ্চল্যকর সুজন সিকদার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি। আজ রবিবার সকালে র‌্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কোমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ দুপুরের দিকে সদর উপজেলার জগতি এলাকার ইজিবাইক চালক সুজন সিকদার (২৮) ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।


পরদিন ২৯ মার্চ সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার একটি লিচু বাগান থেকে সুজনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঈ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একই দিন ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।


মামলার বিচারকার্য শেষে চলতি মাসের গত ৪ অক্টোবর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক সদও উপজেলার আলামপুর দত্তপাড়া এলাকার খন্দকার ইউনুস আলীর ছেলে আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাকি দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি রাকিবুল ইসলাম আসাদকে গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দাা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-১২ এর একটি টিম শনিবার (২২ অক্টোবর) রাতে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া এলাকা হতে আসাদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত রাকিবুল ইসলাম আসাদ এই হত্যা মামলায় আটকের পর প্রায় দেড় বছর জেল খাটে।

এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে সাভার উপজেলার বিরুলিয়া এলাকায় আত্মগোপনে চলে যান।
সেখানে সে রাজমিস্ত্রীর সহকারী, বালু ঘাটের পাহাড়াদার এবং সর্বশেষ কোমল পানীয় কোম্পানির ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি দুইটি বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় তিনি প্রায় ১৩ মাস জেল খাটেন। রাকিবুল ইসলাম আসাদেও বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা, ১টি অস্ত্র মামলা এবং ২টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন