ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের পঞ্চম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮টি মামলায় মোট ৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়াও রাস্তা ও ফুটপাতে মালামাল রাখায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৫টি মামলায় ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রোববার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি জানান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মনসুরাবাদ হাউজিং এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন খিলক্ষেত এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনার সময় বাসা বাড়ী ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় ও ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় অন্য ১টি মামলায় আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
মকবুল হোসেন বলেন, ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন ১৬নং ওয়ার্ড এর পূর্ব কাফরুল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৮০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। ফুটপাত ও রাস্তায় মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৪টি মামলায় ১১ হাজার ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একটি বাড়িতে লার্ভা পওয়ায় ১টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১০ হাজার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন সাতারকুল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে: কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন