ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হঠাৎ করে লঞ্চ বন্ধ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
কলকাতা থেকে চাঁদপুরে বেড়াতে আসা রাজীব দত্ত বলেন, কাজ থাকায় ঢাকা যাওয়ার জন্য চাঁদপুর ঘাটে আসি। আমি আগে জানতাম লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় বিপদে পড়লাম।
নজরুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ঢাকায় ব্যবসায়িক কাজে যাচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লঞ্চ বন্ধ থাকায় যেতে পারছি না।
ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে সোনার তরী লঞ্চের মাস্টার মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে আমাদের চলাচলকারী লঞ্চগুলো বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে।
চাঁদপুর নদীবন্দরের পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সকাল থেকে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেলা পৌনে ১১টায় সিদ্ধান্ত হয় চাঁদপুর থেকে দেশের বিভিন্ন নৌরুটে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে চাঁদপুর থেকে সকালে তিনটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে এগুলো নির্দেশনা দেওয়ার আগে ছেড়ে গেছে।
চাঁদপুর নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, সিত্রাং মোকাবিলায় চাঁদপুর নদীবন্দর এলাকায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমন্বয় করবে। আজ ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহ্ মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, চাঁদপুর জেলার ও জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে ৭ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর নদী বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদে আনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ ৩২৫টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি খাদ্য হিসেবে ২৫ মেট্টিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং বিকেলের মধ্যেই শুকনো খাবার এসে পৌঁছাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন