ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়ন অবতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টা থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দর আজ বিকেল ৩টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। উপকূলীয় অঞ্চলের এই তিনটি বিমানবন্দরে উড্ডয়ন এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে উড্ডয়ন/অবতরণ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বেবিচক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকুলীয় অঞ্চলের তিনটি বিমানবন্দরের উড্ডয়ন এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে উড্ডয়ন/অবতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নোটাম জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে উড্ডয়ন কার্যক্রম পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় মারাত্মক আঘাত হানবে, দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সিত্রাং-এর মারাত্মক আঘাতের কবলে পড়তে যাওয়া ১৩টি জেলা হলো—সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী। অর্থাৎ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানবে। চট্টগ্রামের হাতিয়া এবং সন্দীপও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন