ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কুমিল্লায় রোববার বিকেল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার ভোররাত থেকে শুরু হয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেলেও পড়ছে মাঝারি বৃষ্টি। এমন বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।
সোমবার বৃষ্টির দিনটিকে ঘিরে যেখানে খিচুড়ি-ডিম ভাজি কিংবা ভুনা মাংসের ছবিতে সয়লাব সোশাল মিডিয়া সেখানে কুমিল্লা নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রাণন্তর চেষ্টা করছেন একটু চাল তরকারি কেনার জন্য।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেউ সবজি বিক্রির ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছেন, দিনমজুররা বেড়িয়েছেন কোদাল ও টুকরি নিয়ে। সোমবার সকাল ৯টায় নগরীর কান্দিরপাড় গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যেই কোদাল-টুকরি নিয়ে বসে আছেন জনা বিশেক দিনমজুর। তাদের কেউই কাজ পাননি। বৃষ্টিপাতের কারণে বেশিরভাগ বাড়ির লোকজনই শ্রমিকের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও কাজ করাননি। ফলে কাজ না পেয়ে কান্দিরপাড়ে এসব শ্রমিকরা ছাতা মাথায় ফুটপাতে কিংবা দোকান বা মার্কেটের শেডের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর চর্থা ইপিজেড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রিকশাভ্যানে কেউবা সবজি, কেউবা বাদাম বুট, শিশুদের কাপড় নিয়ে এসেছিলেন। বৃষ্টির তোড়ে পলিথিন মুড়িয়ে দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে কুমিল্লায় দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, আবহাওয়ার খবর রাখছি প্রতিনিয়ত। আমরা ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ করে রেখেছি। প্রয়োজনে বিতরণ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন