ধেয়ে আসা ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য তান্ডব থেকে জান-মাল রক্ষায় নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন মানুষ। নগরীর পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলী ছাড়াও জেলার উপকূলীয় বাঁশখালী, আনোয়ারা, মীরসরাই, সীতাকু-, দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি প্রশাসনের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা এ লক্ষ্যে কাজ করছেন।
সোমবার রাতে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। চাঁদের গাড়ি করে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়। এছাড়া কোস্টগার্ডের ভবনেও আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা। মীরসরাই, সীতাকু-, বাঁশখালী, দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে।
সকাল থেকেই লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বলেন, জেলার ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র, এক হাজার ৪৪০টি বিদ্যালয়, নয়টি মুজিবকেল্লা ছাড়াও আশপাশের উঁচু ভবন প্রস্তুত করে সেখানে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে ১৩ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন।
উপকূলের বাসিন্দাদের মধ্যে অন্তত সাড়ে চার লাখ মানুষকে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছিলেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় একটি এবং ১৫টি উপজেলায় একটি করে ১৫টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন