ভোলার দৌলতখানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং'র বিরূপ প্রভাবে হতাহতসহ বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নসহ দৌলতখান পৌরসভা এলাকায় ও হতাহতের নির্মম ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিরূপ প্রভাবে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার পথে দাদি নাতিসহ ৩ জন গাছ চাপায় আহত হয়েছে। তাদের দ্রুত দৌলতখান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার দাদি খতেজা খাতুহনকে মৃত ঘোষণা করে। খতেজা খাতুন দৌলতখান বাজারের হাজি জামাল মেকারের মা। আহত নাতি আফনান দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আফনান দৌলতখান কলেজ রোডের জয়নাল হাজারির একমাত্র ছেলে। হাজি জামালের ছেলে যোবায়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক তান্ডবে গাছগাছালি উপড়ে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গোটা এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ। ভোলা- বাংলাবাজার সড়কে উপড়ে পড়া গাছের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলার সৈয়দপুর, ভবানীপুর, চরখলিফা, চরপাতাসহ ৯টি ইউনিয়নে শতাধিক ঘরবাড়ি গাছপালা চাপায় বিধ্বস্ত হয়। ঘোষেরহাটসহ কয়েকটি বাজারের দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসময় গাছপালা চাপায় আহত হয়ে ভবানীপুরের আবু জাফর, আবদুর রহিম, চরখলিফার সফিজল, মো: ইব্রাহিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন