ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো উপকূলীয় এলাকা ঝালকাঠির রাজাপুরে ও ঝড়ো হওয়া ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ফলে উপড়ে পড়েছে গাছ, ভেঙে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ।
রাজাপুর পল্লী বিদ্যুৎ জানিয়েছে, দুপুরের মধ্যে উপজেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালুর জন্য তারা কাজ করছেন। পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে তাদের অন্তত দুই দিন সময় লাগবে। সিত্রাং এর তান্ডবে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ভেঙ্গে গেছে,তার ছিড়ে পড়েছে,তারে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে,তবে রাতে কিছু এলাকা চালুর চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ঝড়ের প্রভাবে বিশখালী নদীতে অন্তত দুই থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রাজাপুর উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া, বড়ইয়া পালট, মানকি,সুন্দর, বাদুতলা এলাকাসহ অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কৃষি ক্ষেত, অর্ধশত মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। গাছপালা ভেঙে রাস্তার উপরে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ে অন্তত শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
মঠবাড়ি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজালাল, বড়ইয়ার শাহাবুদ্দিন সুরু মিয়া গালুয়া জিকে পারভেজ জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ঘরবাড়িতে বড় বড় গাছ পড়ে বসতঘরে আবাসন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে।
ইসহাকাবাদ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তার প্রতিষ্ঠানের রেইন্ট্রি, চাম্বল, আমড়া গাছ সহ ৬ টি গাছ ভেঙ্গে পড়ে প্রতিষ্ঠানের চাল ভেঙ্গে গেছে।লতিফ রিক্সা চালক সদরের রিক্সা ও বসতঘর গাছ পড়ে ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে। আয় করা ও বন্ধ, বসত ঘর ও শেষ। তিনি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন প্রশাসনের নিকট। ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত সাহায্যের আবেদন করেছেন সরকারের কাছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন