সুনামগঞ্জের ছাতকে লাফার্জ-হোলসিম কোম্পানী কর্তৃক খোলা বাজারে ক্রাশিং চুনাপাথর বিক্রির প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল ও দিনভর নৌপথ অবরোধ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। বুধবার ছাতক ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে শান্তিপূর্ন ভাবে এসব কর্মসূচী পালন করা হয়। হরতাল ও অবরোধে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছাতক শহর অনেকটাই অচল হয়ে পড়ে। হরতালের কারনে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সকল দোকান-পাঠ বন্ধ ছিলো। ছাতক-সিলেট, ছাতক-সুনামগঞ্জ ও ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মিনিবাস, ট্রাকসহ কোন দুরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। এদিকে, নৌপথেও অবরোধের কারনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোন প্রকার ইঞ্জিন চালিত বল্কহেড ও কর্গো লোডিং-আনলোডিং করা হয়নি। ছাতক থেকে ছেড়ে যায়নি কোন প্রকার পন্যবাহী নৌযান। হরতাল চলাকালে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ খন্ড খন্ড মিছিল বের করে। শান্তিপূর্ন হরতাল পালনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে থানা পুলিশে উপস্থিতি ছিল। হরতাল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচীকে সমর্থন জানিয়েছেন এই অঞ্চলের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ। ছাতক ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে হরতাল ও নৌপথ অবরোধ সফল করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছাতক ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আহমদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী বলেন, অবৈধ ভাবে ক্রাশিং চুনাপাথর খোলাবাজারে বিক্রি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আগামীতে আলোচনা করে আরও কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে। বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সাবেক পৌর মেয়র আবদুল ওয়াহিদ মজনু, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলু মিয়া চৌধুরী, ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারী আবুল হাসান, লাইমষ্টোন ইম্পোটার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের জেনারেল সেক্রেটারী অরুন দাস, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সেক্রেটারী সামছু মিয়া, ব্যবসায়ী আবদুল হাই আজাদ, আবুল হায়াত, বাবুল মিয়া, সুজন মিয়া, আলী আমজদ, ইলিয়াছ আলী, নাজমুল হাসান জুয়েল প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন