পঞ্চগড়ে নিজ সন্তানকে হত্যার দায়ে হামিদা আক্তার নামের এক পাষণ্ড মাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। গতকাল বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত পঞ্চগড়ের বিচারক আনিছুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিজের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলাটি আদালতে চলমান ছিলো। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত প্রধান আসামি হামিদা আক্তারকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এই মামলার অপর দুই আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
হামিদা আক্তারের বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার দোহসুও এলাকার হাসান আলীর মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় বাবার বাড়িতে থাকতেন হামিদা।
এর আগে, গত ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ৮ মাস বয়সি শিশু সন্তান ইমরান আলীকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে আটোয়ারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন শিশুটির চাচা মজনু মিয়া। তার বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার লতিফগছ এলাকায়।
তার ছোট ভাই আতারুল ইসলামের সঙ্গে যখন হামিদার বিচ্ছেদ ঘটে তখন শিশুসন্তান ইমরানের বয়স ৮ মাস। আইন অনুযায়ী শিশুটি মায়ের কাছে থাকবে, এজন্য মা হামিদা আক্তার শিশু ইমরানসহ আটোয়ারী উপজেলায় বাবার বাড়িতে ওঠে। বিচ্ছেদের পর মাত্র ৪ দিনের মাথায় হত্যা করা হয় ইমরানকে।
মামলার বাদী মজনু হক জানান, ভাইয়ের বিচ্ছেদের ৪ দিন পর খবর পাই আমার ৮ মাস বয়সি ভাতিজা ইমরান মারা গেছে। সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারি ইমরানকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে অবগত করে একটি অপমৃত্যুর মামলা করি। পুলিশ ঘটনার পরপরই হামিদা এবং তার মা খোদেজা বেগমকে আটক করে রিমান্ডে নেয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য আদালতে দাখিল করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন