বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

স্থূলতা এবং স্তন ক্যান্সার

| প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০১ এএম

স্তন ক্যান্সার আমাদের দেশে খুব পরিচিত রোগ। প্রতিবছর অনেক এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং অনেকেই মৃত্যুবরণ করে। স্তন ক্যান্সারের সব কারণ কিন্তু আজও জানা সম্ভব হয়নি। তবে বেশ কিছু ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ বা ঝুঁকির কারণ জানা সম্ভব হয়েছে। স্থূলতা তার মধ্যে অন্যতম।

যেসব মহিলার ওজন বেশী তাদের স্তন ক্যান্সার বেশী হয়। বেশীর ভাগ মহিলার ক্ষেত্রেই স্তন ক্যান্সার এর লক্ষণ হচ্ছে স্তনে ব্যথাহীন পিন্ড। অনেকেই এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননা। অথচ একটু সচেতন হলেই স্তন ক্যান্সার প্রথম দিকে নির্ণয় বা ডায়াগনসিস করা সম্ভব। তাতে সমস্যা অনেক কমে যায়। রোগীর পরিণতিও ভাল হয়।

স্তন ক্যান্সারের বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। এর মধ্যে আছে-
১। স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন।
২। স্তনে পিন্ড।
৩। স্তনের ত্বকের পরিবর্তন ।
৪। স্তনের বোঁটা থেকে তরল পদার্থের নিঃসরণ।
৫। বগলে গোটা।
৬। স্তনের বোঁটার পরিবর্তন।

একেকজনের একেকরকম উপসর্গ হয়। সবার কিন্তু একরকম হয়না। যাদের পরিবারে স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস আছে এবং হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিচ্ছেন তাদের অবশ্যই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করতে হবে। কোন সন্দেহ হলেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। চল্লিশ বছরের পরে প্রত্যেক মহিলারই প্রতিবছর ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। ম্যামোগ্রাম কিন্তু সব স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারেনা। তবুও স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে ম্যামোগ্রাম খুব ভালো পরীক্ষা।

ওজন বাড়ার সাথে যেহেতু স্তন ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট সম্পক পাওয়া গেছে তাই যেসব মহিলাদের ওজন বেশী তাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। তেল চর্বি বর্জন করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ওজন কমলে শুধু যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে তা নয় হার্টের অসুখ বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও অনেক কমে যাবে।

ক্যান্সার হলে সেই পরিবারের ভোগান্তির শেষ থাকে না। সবাইকেই কম বেশী কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়। তাই সাবধান হতেই হবে। স্থূলতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। কোনভাবেই ওজন বাড়তে দেয়া যাবেনা। স্তন ক্যান্সারের সব কারণ দূর করা না গেলেও একটু সচেতন হলেই স্থূলতা প্রতিরোধ করা যায়। তাই এদিকে সব মেয়েদের দৃষ্টি দেয়া দরকার।

ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন