অতিদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ৫৯ জনকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গত বুধবার সন্ধ্যায় বাসযোগে পাচারের সময় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা থেকে তাদের উদ্ধার করে র্যাব। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১৮ জন শিশু রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৬ এর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, খুলনা জেলার পাইকগাছা থানায় বসবাসরত দরিদ্র ও অসহায় খেঁটে খাওয়া সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব ও দারিদ্র্যকে পুঁজি করে একদল পাচারকারী দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাজনের নিকট শ্রমিকদের অমতে ব্যক্তিগত লাভের আশায় তাদের বিক্রি করে দেয়।
গত বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটি মানবপাচার চক্র পাইকগাছা থেকে নারী ও শিশুসহ ৫৯ জন দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে নড়াইল জেলায় একটি ইটের ভাটায় কাজ দেওয়ার কথা বলে কৌশলে একটি বাসে ওঠায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রমিকদের জিম্মি করে বাসটি নড়াইলে না গিয়ে খান জাহান আলী সেতু, খুলনা অতিক্রম করলে শ্রমিকরা বুঝতে পারে তাদের ফাঁকি দিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে তাদেরকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং অন্য মহাজনের নিকট বিক্রি করে দেওয়া হবে। এ অবস্থায় অচেনা ইটের ভাটা এবং ওই এলাকার নিষ্ঠুর ও নির্মম অত্যাচারের কথা ভেবে তারা ভয় পেয়ে যায় এবং নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন বাসের ভিতরে চিৎকার শুনে র্যাবকে খবর দিলে র্যাব-৬, খুলনার একটি আভিযানিক দল তড়িৎ গতিতে গাড়িটিকে অনুসরণ করে। খানজাহান আলী সেতু পার হয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় বাসটির গতিরোধ করলে এই মানব পাচার চক্রের ২ জন মো. লিটন গাজী এবং তার সহযোগী মো. সোহাগ গাজীকে আটক ও ৫৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের পাইকগাছা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন