বরিশালের সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকাÑবরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ সহকর্মীরা। গতকাল দুপুরে ঘণ্টাকালের এ অবরোধ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।
শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের মালিক ও তাদের গুন্ডা শ্রমিক বাহিনীর হামলায় দুই নারীসহ ৫ শ্রমিক আহত হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িতদের বিচার করা না হলে আন্দোলনসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম বলেন, সকালে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক প্রবেশ করার জন্য গেটে আসে। এ সময় একজন শ্রমিকের পূর্বের অনুপস্থিতি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তাকে ঢুকতে নিষেধ করায় অন্যরা প্রবেশ করেনি। পরে তারা অটোচালক শ্রমিকদের খবর দেয়। বহিরাগত শ্রমিকরা গেট ভাঙ্গার চেষ্টার পাশাপাশি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় ডিজিএম-এর ওপর হামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের হামলায় মিলের বেশকিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও ডিজিএম অভিযোগ করেছেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের নিয়েল মহাসড়ক অবরোধ করে। এক পর্যায়ে মনীষা চক্রবর্তি প্রশাসনের লোকজনকে সাথে নিয়ে মিলের ভেতরে প্রবেশ করে। প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে মিল কর্তৃপক্ষকে বিক্ষুব্ধদের দাবি মেনে নিতে বলে। এরপরে তাৎক্ষণিকভাবে ৬ জনকে মিল থেকে বের করে দেয়া হলে পরিস্থিতি শান্ত হরে দুপুর ৩টার দিকে ক মিলে উৎপাদন শুরু হয়। ইতোমধ্যে মহাসড়ক থেকেও অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
ডিজিএম আরো জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে ৬ জনকে তাৎক্ষণিক বের করে দেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রমিক সিরাজ জানান, দুপুরে টেক্সটাইল মিলে যাওয়ার সময় পূর্বে অনুপস্থিত থাকায় একজনকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয় গেটের নিরাপত্তা কর্মীরা। পরে অন্যান্য শ্রমিকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে, মিলের ভেতরে মালিকদের নিজস্ব লোকজন হামলা করে। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিএমপির কোতয়ালী থানার ওসি আজিমুল করিম সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিকদের অনুপস্থিতি নিয়ে একটা ঝামেলা হয়। এর ফলে কিছু শ্রমিক বিক্ষোভ করে এবং ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন