সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

উপকূলের জেলেদের সাগরে যেতে প্রস্তুতি

কাল শুরু হচ্ছে দুবলার চরের শুঁটকি মৌসুম শনিবার জেলেদের সমুদ্রে যাত্রা

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সুন্দরবনের দুবলার চরের শুটকি মৌসুম আগামী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। মূলত আজ দিবাগত রাত ১২টার পর দুবলার উদ্যেশ্যে রওনা হবেন অনেক জেলে। তাই শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় উপকূলের জেলে-মহাজনেরা। সাগরে যেতে যে যার মত প্রস্তুত করছেন জাল, দড়ি, নৌকা-ট্রলার। কেউ কেউ গড়েছেন নতুন ট্রলার, আবার কেউ পুরাতনটিকে মেরামত করে নিয়েছেন। সাগরে যাওয়ার শেষ প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি তারা। বনবিভাগের পাস নিয়েই তারা রওনা হবেন সাগর পাড়ের দুবলার চরে। সাগরে এখন আর দস্যুদের উৎপাত না থাকলেও ঝড়-জলোচ্ছাসের প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি মাথায় নিয়েই দুবলায় যাত্রা শুরু করবেন হাজার হাজার জেলে। বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর পাড়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ মৌসুম চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। টানা ৪ মাস সেখানে থাকতে হবে জেলেদের। তাই সাগর পাড়ে গড়তে হবে তাদের অস্থায়ী থাকার ঘর, মাছ শুকানো চাতাল ও মাচা। সেসব তৈরিতে ব্যবহার করা যাবেনা সুন্দরবনের কোন গাছপালা-লতাপাতা। তাই বনবিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী চরের উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রস্তুতি নেয়া সকল জেলে তাদের ট্রলারে করে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী। আর এ সকল প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগেরহাটসহ উপকূলের কয়েক জেলার জেলে-মহাজনেরা।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, বনবিভাগের কাছ থেকে পাস (অনুমতিপত্র) নিয়ে নিজ নিজ এলাকা থেকে রওনা হয়ে জেলেদেরকে সরাসরি যেতে হবে দুবলার চরে। যাওয়ার পথে সুন্দরবনের কোন নদী-খালে প্রবেশ ও অবস্থান করতে পারবেন না সমুদ্রগামী এ জেলেরা। এছাড়া দুবলার চরে অবস্থানকালে সাগর ছাড়া সুন্দরবনের খালে প্রবেশ ও সেখানে মাছ ধরতে পারবেন না বলেও তিনি জানান। দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের নেতা কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে এখন আর দস্যুতার ভয় নেই। তাই অনেকটা স্বস্তি নিয়েই সাগরে যান জেলেরা। বনবিভাগ থেকে এখনও সব পাস-পারমিট পাওয়া যায় নি। তবে শুটকি মৌসুমকে ঘিরে এবারও উপকূলের বিভিন্ন এলাকার সাড়ে ৬ হাজার বহরদারের অধীনে প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার জেলে সমবেত হবেন দুবলার চরে।

ট্রলার নিয়ে গভীর সাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাছাই করে শুটকি করবেন তারা। ওই সকল ট্রলারে জেলেরা এখান থেকে সকল কাঠ নিয়ে যাচ্ছে সেখানে ঘর-মাচা করার জন্য।

বনবিভাগের কাছ থেকে পাস নিয়ে শনিবার থেকে তারা সাগরে যেতে শুরু করবেন।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বছরও চরে জেলেদের থাকা ও শুটকি সংরক্ষণের জন্য ১ হাজার ৩০টি ঘর, ৬৩টি ডিপো এবং ৯৬টি দোকান স্থাপনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গত শুটকির মৌসুমে দুবলার চর থেকে বনবিভাগের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ টাকা। এবারও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন