৪ মাস আটকে রেখে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর দাবি এ ঘটনায় সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদ শাহাদাত নামে এক যুবক জড়িত। গত বুধবার দিবাগত রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সহায়তায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে চরজব্বর থানা পুলিশরে কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর ইউপি মেম্বার মো. নুর আলাম ও ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, দালালের মাধ্যমে গত ৪ মাস আগে ওই কিশোরীকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ের প্রলোভনে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে সুবর্ণচরের নিয়ে আসেন শাহাদাত। পরবর্তীতে উপজেলার খাসেরহাট রাস্তার মাথা এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে আটকে রেখে ওই কিশোরী ধর্ষণ করে আসছে।
এ সময় শাহাদাতের অপর সহযোগী কচি ওই রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আঁচ করলে দালালরা কিশোরীকে একা ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা কিশোরীকে থানায় সোপর্দ করে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহাদাত উপজেলার চরআলাউদ্দিন গ্রামের মৃত আসাদুল হকের ছেলে। কচি একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। ভুক্তভোগী বলেন, শাহাদাত এখনো তাকে বিয়ে করেনি। সে শাহাদাতকে বিয়ে করতে চায়।
চরজব্বর থানার ওসি দেব প্রিয় দাশ বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন