আলোর মিছিলে আলোকিত হয়েছিলো শেরপুরের ভারত সীমান্ত ঘেষা গারো পাহাড়ের বারোমারী ধর্মপল্লীর এলাকা। অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আলোর মিছিলে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য পায় খ্রীষ্ট ভক্তরা। অপরদিকে তীর্থ উপলক্ষ্যে অংশগ্রহণকারী খ্রীষ্ট ভক্তদের আগমন বেশি হওয়ায় লাভবান ব্যবসায়ীরা। গতকাল দুপুরে সমাপনী খ্রীষ্ট্রযাগের (মূলপ্রার্থনা) মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারমারী সাধু লিওর খ্রীষ্টান ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত দুইদিনব্যাপি ফাতেমা রাণীর র্তীথ উৎসব।
‘মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’ এই মূল সুরে গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় পূণর্মিলন, পাপ স্বীকার এবং সন্ধ্যায় পবিত্র খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পরে রাত আটটায় বের করা হয় বিশাল আলোক শোভাযাত্রা। মা মারিয়ার প্রতিকৃতি সামনে বহন করে নিয়ে যায় ফাদাররা। আর অন্তত পাঁচ এলাকাজুড়ে আলোক শোভাযাত্রাটি আলোকিত করে তুলে গারো পাহাড়। দীর্ঘ তিন বছর করোনার কারণে সংক্ষিপ্তভাবে উৎসবটি পালন করা হয়। কিন্তু এবছর প্রায় অর্ধলক্ষ দেশি-বিদেশি রোমান ক্যাথলিক খ্রীষ্টভক্তদের অংশগ্রহণে আলোক শোভাযাত্রায় ভক্তদের মধ্যে নতুন করে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আরাধ্য সাক্রান্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশি জাগরণের মধ্যদিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খ্রীষ্টভক্তরা নিজেদের পাপ মোচনে মোম জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এসময় মা-মারিয়ার প্রতিকৃতির সামনে সমবেত হয়ে ভক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে অকৃপণ সাহায্য ও পাপ মোচনের প্রার্থনা করেন ক্যাথলিক ভক্তরা।
শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রম ও মহা খ্রিষ্টযাগের মধ্যদিয়ে দুই দিনব্যাপি তীর্থ উৎসবের সমাপ্তি হয়।
এদিকে, তীর্থ উৎসবে বসেছে মেলা। এবার তীর্থ উৎসবে এবার লোক বেশি হওয়ায় মেলার ব্যবসায়ীরা লাভবান। আবার মেলায় নানা ধরণের পণ্য পেয়ে খুশি তীর্থ উৎসবে আসা খ্রীষ্ট ভক্তরা। আবার মেলায় আসছে অন্য ধর্মের লোকেরা। এতে মেলা আরো জমে ওঠেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন