যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, আর্থিক মন্দায় পড়তে যাচ্ছে তাদের দেশ। তবে তাদের কাছে এর থেকেও আরো বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে সৃষ্ট বর্তমানের বিশ্ব পরিস্থিতি। মার্কিন নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করে অন্যতম শীর্ষ মার্কিন বিনিয়োগকারী জেপিমরগান চেজ (জেপিএম) এর সিইও জেমি ডিমন বলেছেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার চেয়ে বৈশ্বিক ভূরাজনীতি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। মঙ্গলবার রিয়াদে ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ’ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‹সামনে অনেক জিনিস রয়েছে যা খারাপ এবং নিশ্চিতভাবে না হলেও, যুক্তরাষ্ট্রকে মন্দার মধ্যে ফেলতে পারে, এটি সবচেয়ে গুরুুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যা আমরা ভাবছি। আমরা এটি সামলে নেব। আমি আজ বিশ্বের ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে আরও বেশি চিন্তিত।›
ডিমনের মতে, এধরণের অনেক সমস্যার মূলে রয়েছে মার্কিন নেতৃত্বের অভাব। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে ডিমন বলেন যে, যদি আমাদের শক্তিশালী আমেরিকান নেতৃত্ব না থাকে, যদি কুৎসিত আমেরিকান নেতৃত্ব পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একটি সমন্বিত ‘আমাদের পথ বা চরমপথ’ অনুসরণ করে, তাহলে আপনি ইউক্রেনের মতোই নৈরাজ্যের মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন। ডেমনের সাথে সুর মিরিয়ে শীর্ষ বিনিযোগকারী ব্ল্যাকস্টোন গ্রুপের (বিএক্স) সিইও স্টিফেন শোয়ার্জম্যান বলেছেন, ‘মৃদু বা সামান্য গুরুতর মন্দার (যুক্তরাষ্ট্রে) চেয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক আমাকে অনেক বেশি চিন্তিত করছে। আমরা নিজেদেরকে এমন একটি পরিস্থিতিতে নিয়ে এসেছি যেটি ক্রমবর্ধমানভাবে অবনতিশীল।’
ইউরোপ ইতিমধ্যে মন্দার মধ্যে থাকতে পারে মন্তব্য করে একই সম্মেলনে গোল্ডম্যান শ্যাশ (জিএস) এর সিইও ডেভিড সলোমন বলেন, ‹কোন সন্দেহ নেই যে, অর্থনৈতিক অবস্থা এখন থেকে অর্থপূর্ণভাবে কঠিন হতে চলেছে। আপনারা যদি নিজেকে এমন পরিস্থিতিতে খুঁজে পান যেখানে মুদ্রাস্ফীতি গ্রোথিত হয়ে গেছে, তাহলে অর্থনৈতিক মন্দা ব্যাতিত এটি থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন।’ হেজ ফান্ড ব্রিজওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন ধনকুবের রে ডালিও একই মত ব্যক্ত করে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধে অস্তিত্বের ঝুঁকি রয়েছে। যা প্রয়োজন তা হ’ল একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক মধ্যপন্থা যা চরমপন্থার চেয়েও শক্তিশালী।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন