প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর দল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়ায় বিএনপি আন্দোলন করতে পারছে।
তিনি বলেন, তবে, বিএনপি’র যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতিত্বকালে দেয়া প্রারম্ভিক ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ওপরে মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে দলকে নির্বাচিত করেছে, এবারও দিবে। কিন্তু যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গ্রেনেড হামলাকারী ও অর্থপাচারকারী জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দিবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ব্যয় কমাতে হবে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায়। তাই খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাটা। সম্মেলন প্রস্তত কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং কাজ করে যাবো। আমাদের উন্নয়নের কথাগুলো যেমন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের জন্য যে পরিকল্পনা করছি সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, গ্রেনেড হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, খুন-রাহাজানি এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে এসেছে সেই দেশকে তারা ভিখারির দেশে পরিণত করে, হাত পেতে চলার দেশে পরিণত করেছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশকে তুলে এনে আজকে আমরা আত্মমর্যাদাশীল দেশে পরিণতি করেছি। এখন দেশকে বিশ্বের মানুষ সম্মানের চোখে দেখে।
সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। একদিনেই এই সম্মেলন শেষ হবে।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিল বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ব্যয় কমাতে হবে সাদামাটা। তিনি বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ও কতগুলো উপ-কমিটি করতে হবে। যেহেতু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা যাচ্ছে, তাই, এবারের সম্মেলন আমরা কোন সান-শওকত করে করবো না। খুব সীমিত পরিসরে, অল্প খরচে, সাদাসিধেভাবে আমাদের সম্মেলন করতে হবে।
সূচনা বক্তব্যে বিএনপি আমলের সন্ত্রাস ও বর্বরতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের সভায় একের পর এক বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হলেও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে সক্ষম হয়েছে।
সূত্র: বাসস
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন