বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

চাকরি জীবনে কোনো অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি -বিদায়ী ডিএমপি কমিশনার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৩৫ পিএম | আপডেট : ৭:০৭ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২২

ডিএমপির বিদায়ী কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, চাকরিকে ইবাদত মনে করেছি। চাকরি জীবনে কোথাও থেকে কোনো অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি। গতকাল শনিবার ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২’ উপলক্ষে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ ৩৩ বছরের চাকরি জীবনের ইতি টানলেন সদ্য বিদায়ী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়াম, রাজারবাগ, ঢাকায় এক আড়ম্বর সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে তাকে বিদায় জানান টিম ডিএমপি’র সকল স্তরের পুলিশ সদস্য। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী কমিশনারের সাথে দীর্ঘ কর্মজীবন অতিবাহিত করার স্মৃতিচারণ করেন টিম ডিএমপি’র সদস্যরা। উল্লেখ্য, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গত বছরের ২৯ অক্টোবর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। সরকার তার চাকরির মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করায় তিনি গতকাল শনিবার অবসরে যান।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আইজিপি হিসেবে যাকে বেছে নিয়েছেন, তিনি ভালো করবেন। এ আস্থা আমার রয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। যতক্ষণ শ্বাস আছে, যতক্ষণ আশা আছে, ততক্ষণ পুলিশ বাহিনী লড়াই করবে।
এর আগে কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে কমিশনার বলেন, আমি ডিএমপি কমিশনার হওয়ার পাঁচ-ছয় মাস যেতেই মহামারি এসেছে। সে সময় বিধি-নিষেধের কারণে স্বাভাবিক সভা-সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য আমি খুব বেশি কিমিউনিটি পুলিশিংয়ের জন্য কাজ করতে পারিনি। তারপরও চেষ্টা করে গেছি এলাকার মানুষ নিয়ে কাজ করার জন্য।
তিনি বলেন, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, যৌতুক, মাদকের মতো সামাজিক সমস্যা রোধে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আগে এসব সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে আলাদা আইন ছিল না। পর্যায়ক্রমে যখন অপরাধ বাড়তে থাকলো, তখন আইন হলো। পর্যায়ক্রমে আইন কঠোর থেকে কঠোর হলো। কিন্তু শুধু আইন করে কী অপরাধ নির্মূল সম্ভব হয়েছে? হয়তো কমেছে, কিন্তু খুব বেশি লাভ হয়নি। এসব সামাজিক সমস্যা যদি সবাই মিলে প্রতিরোধ করি তাহলেই এ অপরাধ থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।
বিদায়ী এ কমিশনার বলেন, প্রত্যেক মাদকসেবী টাকা জোগাড় করতে অপরাধে জড়ায়। এক সময় মাদক কারবারে জড়ায়। একজন মাদক কারবারিকে ধরলে শত শত কারবারি তৈরি হচ্ছে। আজ যে মাদক খায় তিনি ভবিষ্যতের কারবারি হবেন। সামাজিকভাবে সবাই মিলে যদি এটা প্রতিরোধ করতে না পারি তাহলে শুধু জেল দিয়ে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন