বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারনে অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার ফের জেলার ৪টি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো রুমা, রোয়াংছড়ি,থানচি ও আলীকদম।
আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাত আটটা থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি।
জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, জেলার থানচি, আলীকদম, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠনের উপস্থিতির বিষয়ে সু-নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য বান্দরবান সেনা রিজিয়নের এক পত্রের আলোকে বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃক আধিপত্য বিস্তার মূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটক ৪ নভেম্বর পর্যন্ত নিষিদ্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
সম্প্রতি বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রাঙামাটি বিলাইছড়ির সাইজামপাড়ার দূর্গম এলাকায় যৌথ বাহিনীর ১০ দিনের অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৭জন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কে এনএফ) ৩জনসহ মোট ১০ সদস্য কে বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরাঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও যৌথ বাহিনী। এসময় তাদের একটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়। আর এঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যেও আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে জেলার একের পর এক উপজেলায় পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ করা ও যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধারসহ শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের কারনে জেলা জুঁড়ে আতংক বিরাজ করছে। ফলে জেলায় পর্যটক আগমন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল এখন পর্যটক শূন্য। ফলে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়িরা পড়েছে চরম বেকায়দায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন