বাগেরহাটের শরণখোলায় আরাফাত স্টোর নামের একটি দোকান থেকে এক মেট্রিকটন সরকারি চালসহ দুইজনকে আটক করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে আটককৃতদের দাবী ইউনিয়ন পরিষদের উপকারভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চাল কিনে মজুদ করেছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজারে ভ্রম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আরাফাত স্টোরের অভিযান পরিচালনা করে ২০ বস্তায় এক মেট্রিকটন চাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা চাল মজুদ করার অভিযোগে ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপন ও আরাফাত স্টোরের মালিক মোঃ কামাল হোসেনকে আটক করা হয়। আরাফাত স্টোরের মালিক মোঃ কামাল হোসেন ওই চাল গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপনের কাছ থেকে কিনেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এদের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল হক বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মামলা করবেন।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, তিনি বিভিন্ন সময় জেলে, ভিজিএফ, ভিজিডিসহ বিভিন্ন উপকারভোগীদের কাছ থেকে অল্প অল্প করে চাল কিনে মজুদ করে আরাফত স্টোরের মালিকের কাছে বিক্রি করেছি। উপকারভোগীদের কাছ থেকে চাল কিনে তিনি ছাড়া আরও অনেকে এই ব্যবসা করে থাকেন বলে জানান। ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, উপকারভোগীদের চাল দেয়ার পরে তারা অনেক সময় স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দেয়। গ্রাম পুলিশ সেভাবেই হয়তো চাল কিনে মজুদ করে ওই দোকানে বিক্রি করেছে। এখানে পরিষদের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, এব্যপারে সরকারি চাল অবৈধ মজুতের অপরাধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন