গণ অভ্যুত্থানের ভয়ে এই অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানকে কে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। হাস্যকর ওই গ্রেফতারী পরোয়ানার নেপথ্যে হচ্ছে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা নাকি উনারা তছরুফ করেছেন। এটা কিসের কি। জনগণ কি তা বুঝতে বাকী আছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে সারা দেশ ব্যাপী গণসমাবেশ হচ্ছে। নানা প্রতিকূলতার পরও লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হচ্ছে। সেখান থেকে সরকারকে জনগণ যে লালকার্ড দেখাচ্ছে এটায় ভীত হয়ে এই অবৈধ সরকার উনাদের বিরুদ্ধে হাস্যকর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেলে যুব সমাবেশে উপরের উল্লেখিত কথা বলেন।
বুধবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা শহরের কাশিনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিতের পরিচালনায় যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজিনা নাসের, ফয়ছল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক বকশী মিছবাহ উর রহমানসহ জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
নাসের রহমান আরও বলেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিবাদী সরকার। যখন দেশের জনগণ আন্দোলন মুখী হয়ে উঠে ঠিক তখনই যে কোনো ছুঁতো খুঁজে বেড়ায় কিছু একটা করার জন্য। এটাও তার একটি ছুঁতো। সারা বাংলাদেশে এই গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে। বর্তমান সরকারের দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। দেশের সব মানুষ বুঝতে পারছে। অবৈধ সরকার চেয়েছিলো ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করতে। কিন্তু ওই দিন পর্যন্ত যেতে পারবেন না। তার আগেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
নাসের বলেন এই সরকারের ক্ষমতায় থাকা না থাকার মাঝখানে খালি একটা জিনিসই আছে। সেটা হচ্ছে পুলিশ। আর কিছুই নেই। আগামী কাল যদি পুলিশ বলে আমরা নিরপেক্ষ হয়ে গেলাম। তখন চারদিকে আর আ’লীগকে খোঁজে পাওয়া যাবেনা। স্বৈরাচার কখন সোজা পথে যায়না। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। অনেক রক্ত ঝরিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটে। তাদের সামনে এখন দুটি পথই খোলা। ১৪ বছর ক্ষমতা চালিয়ে যাই করেন এখন স্বসম্মানে বিদায় নিবেন না গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হয়ে গদি ছাড়বেন।
তিনি বলেন এটা নিশ্চিত এদেশে শেখ হাসিনার অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। উনার আর সেই ক্ষমতাও নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। আর অবশ্যই সেই নির্বাচনে বেগম জিয়া অংশ নিবেন। তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।
সকাল থেকেই জেলার সবকটি উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা,ক্যাপ,ব্যানার, রঙ বেরঙয়ের ফেস্টুনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের ছবি ও শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে আসতে থাকে। সমাবেশ শুরুর আগেই কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছান। একের পর এক শ্লোগানে মুখরিত করে অনুষ্ঠান স্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন তারা আসার পথে নানা স্থানে পুলিশ গাড়ি আটকিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে বাধা দেয়। কয়েকটি স্থানে গাড়ি আটকেও রাখে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশে জলকামান সহ পুলিশের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। গেল কয়েক দিন থেকে যুবসমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ। নেতৃবৃন্দ বলেন আজকের যুবনেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি এটাই প্রমাণ করে এই ফ্যাসিবাদী সরকারে পতন অনিবার্য। সমাবেশে বক্তারা আগামী ২০ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করার আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন