রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালুতে সরকারের সহায়তা চায় সিমেড হেলথ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪৩ পিএম

দেশে রেফারেল সিস্টেমের বাস্তবায়ন নেই। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ সামান্য অসুস্থ বোধ করলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হয়। সাধারণ রোগীর ভিড়ে জটিল রোগীর বঞ্চিত হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা গ্রহণের। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডোর টু ডোর চিকিৎসা, রেফারেল সিস্টেম ও রোবোটিকস সেবা সহ বিভিন্ন আধুনিকতায় চিকিৎসার মডেল নিয়ে কাজ করছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিমেড হেলথ। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একজন ব্যক্তি এবং জাতির মোট স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি, খরচ এবং সময়কে কমিয়ে দিতে পারে। অথচ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা দীর্ঘকাল ধরে শুধুমাত্র রোগ নিরাময়ভিত্তিক চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের কারণে দেশে এখন একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো রয়েছে। যা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে সবার জন্য সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য করে তুলবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আজ (বুধবার) বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাবনা শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনায় সিমেড হেল্থের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, সিমেডের মডেল অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের বর্তমান অবস্থা এবং ব্যয় কমাতে প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক যত্নের প্রয়োজনীয়তা, প্রতিটি ব্যক্তির ডিজিটাল স্বাস্থ্য অ্যাকাউন্ট থাকা, প্রত্যন্ত অঞ্চলেঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সহায়ক হবে। এর সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে সিমেডের এই চেয়ারম্যান জানান, বেসরকারি সংস্থা পিকেএসএফ এর আর্থিক সহযোগিতায় আমাদের এই মডেল নিয়ে ৬০ টির অধিক ইউনিয়নে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে সেটি সারাদেশে চালু করতে গেলে শুধু পিকেএসএফ এর অর্থায়নে সম্ভব হবেনা। এর জন্য প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ। সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এই ক্ষেত্রে কাজ করতে পারলে সারাদেশে একটি সুন্দর মডেল প্রতিষ্ঠিত হবে পারে। এই মডেল অনুযায়ী সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া গেলে আধুনিক মানের সেবা দেওয়া যাবে। এর সাথে কোন এলাকায় কোন রোগের প্রাদুর্ভাব সে অনুযায়ী অগাম ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সিমেড হেল্থ একটি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপ যা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। এটি ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষকে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দেবার মাধ্যমে সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট গোল নিশ্চিত করতে এগিয়ে যাচ্ছে। এইমস ল্যাব (ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) থেকে শুরু হয়ে সিমেড অগণিত পুরস্কার পেয়েছে যেমন: এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস ২০১৯, সীডস্টার্স গ্লোবাল ইনোভেশন প্রাইজ ২০১৮, ডিবিএস-এনইউএস সোশ্যাল ভেঞ্চার চ্যালেঞ্জ ২০১৮-এ উদ্ভাবনী সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ অ্যাওয়ার্ড এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ থেকে উদ্ভাবন অনুদান পেয়েছে। সুস্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, সিমেড ডিজিটাল হেলথ কর্নার একটি কর্পোরেট স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প এবং সুস্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ফার্মেসি দ্বারা প্রদত্ত একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা সমাধান শুরু করেছে।

এছাড়া জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি) মডেল - একটি দোরগোড়ায় প্রতিরোধমূলক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা যেখানে একটি পরিবারকে শুধুমাত্র ১০০ টাকা হেল্থ কার্ডের মাধ্যমে মাসজুড়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। সিমেড বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে এবং পিকেএসএফ, ইউনিসেফ, ব্র্যাক এর সাথে কাজ করে।

গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন , সিমডের সিইও মো. আশরাফ দাউদ, প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর ও হেড অব গ্রোথ মইন এইচ চৌধুরী, হেড অব মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. এ কে এম নাজমুল ইসলাম, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন