গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য মাদক কারবারীদের হামলায় আহত হয়েছে। ভুয়া ডিবি পুলিশ আখ্যা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা এ হামলা চালায়। মঙ্গলবার রাতে টঙ্গীর হাজী মাজার বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন,আহতরা হলেন- ডিবি পুলিশের ওসি ফরিদ হোসেন, এসআই পরিমল, এসআই বিল্লাল, এসআই ইব্রাহিম, কনস্টেবল সোহাগ মিয়া, রমজান মিয়া ও আফরোজা আক্তার।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১০টার দিকে ডিবি পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে করে ৮ জন ডিবি সদস্য হাজীর মাজার বস্তিতে প্রবেশ করে। এ সময় আছিয়া (৫০) নামে এক মাদক কারবারিকে হেরোইনসহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের খবর বস্তির অপর মাদক কারবারিদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং ডিবির টিমকে ভুয়া ডিবি আখ্যায়িত করে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় বস্তিবাসী, মাদক কারবারি ও ডিবি পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বস্তির আবু সাঈদ নামে র্র্যাবের এক সোর্স ঘটনাস্থলে এসে র্র্যাবকে ফোন দিলে র্র্যাবের-১ এর ল্যান্স নায়েক মেহেদি হাসনাত ও কনস্টেবল আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে এলে ডিবি পুলিশের সঙ্গে র্র্যাবের সদস্যদের ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে র্র্যাবের সদস্যরা ডিবির পুলিশের ওসি ফরিদ হোসেনকে মাজার বস্তি কল্যাণ সমিতির অফিসে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই শুভ মণ্ডল, এসএম মেহেদি হাসানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ডিবি পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে ডিবির ওসি ফরিদ হোসেন জানান, আমাদের টিমের ৭ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ঘটনার পরপরই আমিসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের ওসিসহ ৭ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করি।
এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। হাজীর মাজার বস্তি ও আশপাশের এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন