স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি দমন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, আমরা দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য পাই এবং তাতে দুর্নীতির উপাদান থাকে তাহলে আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ একটি একটি করে অনুসন্ধান করব। আমরা শুধু প্রতিরোধের জন্য নয়, দুর্নীতি দমনও করব। গতকাল বুধবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে গণশুনানি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ এর সেবা সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর ফলোআপ এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এটা দুর্নীতি দমন কমিশনের ৩৫তম গণশুনানি। প্রায় ৪০ জন সেবাগ্রহীতা তাদের অভিযোগ পেশ করেন। প্রতিটি অভিযোগ সম্পর্কে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তবে কতিপয় অভিযোগ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমর অনেক সময় জানতে পারি রাজউক কর্মকর্তারা সেবা গ্রহীতার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এটা কাক্সিক্ষত নয়। সংবিধান অনুযায়ী জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। তারাই প্রিন্সিপাল, সরকারি কর্মকর্তারা এজেন্ট মাত্র। তাই সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন এবং আইন মেনে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। রাজউককে কাজের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, রাজউকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য তথ্য অধিকার আইন তথা তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। রাজউকের ওয়েব সাইটে সকল তথ্য থাকা উচিত। তাহলে অনেক সমস্যার সমাধন হবে। গণশুনানিতে দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, রাজউকের কর্মকর্তারা যে প্রতিশ্রুতি দিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তারা এ অভিযোগুলো নিষ্পত্তি করবেন। এসময় রাজউক চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী বলেন, জবাবদিহিতার মাধ্যমেই আমাদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আমাদের পুরো সেবা প্রক্রিয়া অটোমেশন করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ারের সঞ্চালনায় দুদকের মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন