বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

| প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিলেট অফিস : সিলেটের তারাপুর চা বাগান দখলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠি জালিয়াতি মামলায় শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। মামলায় মোট ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, জালিয়াতি মামলায় ১৪ জন সাক্ষী ছিলেন। তন্মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য আগেই গ্রহণ করা হয়েছিল। বুধবার আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জালিয়াতি মামলায় পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একইদিন প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় ছয় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রতারণার মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির আলোচিত দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। স্মারক জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পরোয়ানা জারির পরপরই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী। তার আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ গত ১০ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১২ নভেম্বর রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন