ফরাসি পার্লামেন্টে লাগল বর্ণবিদ্বেষের রং। অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পালটা গাত্রবর্ণ নিয়ে অপমান ফ্রান্সের অতি-বাম এমপি’র। যার জেরে পার্লামেন্টে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। শেষমেশ দুই এমপি’র মধ্যে বাকযুদ্ধে অধিবেশন পুরোপুরি মুলতুবি হয়ে গেল। অপমানকারী এমপি’র পদত্যাগের দাবি উঠছে। প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলছেন, এ দেশের গণতন্ত্রে বর্ণবিদ্বেষের কোনও স্থান নেই, তা মনে রাখতে হবে সবাইকে।
বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়ালেন অতি-বাম ও অতি-ডানপন্থী দুই এমপি। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। অতি-বামপন্থী এমপি কার্লোস মার্তেঁস বিলোঁ অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অভিযোগ, প্রশ্ন শুনে খেপে যান অতি-ডান এমপি গ্রেগয়ের দে ফরনাস। এবং চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘গো ব্যাক টু আফ্রিকা’। তাতে স্তম্ভিত হয়ে যান বিলোঁ। পরে তিনি জানিয়েছেন, ‘এমন লজ্জাজনক ঘটনা জীবনে এই প্রথম। আজ আমাকে গায়ের রং নিয়ে অপমান করা হল! অথচ আমি জন্মেছি ফ্রান্স। আমি একজন ফরাসি ডেপুটি।’
বিষয়টি নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে যায় পার্লামেন্টের অন্দরে। অধিবেশনই মুলতুবি হয়ে যায়। সরকারের তরফে এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয়া হয়েছে। গ্রেগয়েরের প্রতিক্রিয়ার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রে বর্ণবিদ্বেষের কোনও জায়গা নেই। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির উচিত, দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেয়া।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লে পেঁ টুইট করেন, ‘বিতর্ক শুরু হয়েছে দুই রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বাকযুদ্ধ থেকেই।’
অভিযুক্ত এমপি গ্রেগয়ের দে ফরনাসের দাবি, তিনি বিলোঁর উদ্দেশে কিছু বলেননি। তার নিশানায় ছিল নৌকোয় করে ফ্রান্সে আসা শরণার্থীরা। কিন্তু তাদের উদ্দেশেও এই হুঁশিয়ারি কার্যত অপমানজনক। বিশেষত তার উল্লেখ করা আফ্রিকা নামটিই এক্ষেত্রে বিশেষ বার্তা দিচ্ছে, তা স্পষ্ট। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর দলের তরফে নেতা স্টেফান সেজর্নের দাবি, ফরনাসের উচিত পদত্যাগ করা। তিনি নিজে পদ না ছাড়লে বহিষ্কার করুক দল, এই দাবিও উঠেছে। সূত্র: এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন