পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে ফরাসি সেনাবাহিনীর অভিযান সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। বুরকিনা ফাসোর সরকার রোববার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পরে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ফরাসি বাহিনীর প্রস্থান এই অঞ্চলে রাশিয়া সমর্থিত ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সেনা উপস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুরকিনার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরাসি বাহিনীর সিনিয়র অফিসাররা গত শনিবার রাজধানী ওয়াগাদুগুর উপকণ্ঠে একটি ক্যাম্পে ওই ঘোষণা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এ সময় পতাকাগুলো অর্ধনমিত রাখা হয়। গত মাসে ফ্রান্স নিশ্চিত করেছিল, তারা বুরকিনা ফাসোতে অবস্থানরত শত শত সেনা প্রত্যাহার করবে। তবে বুরকিনা ফাসো সরকারের মুখপাত্র জিন-ইমানুয়েল ওয়েড্রাওগো বলেন, সেনা প্রত্যাহার মানে বুরকিনা ফাসো এবং ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবসান নয়।
যেহেতু বুরকিনা ফাসোর শাসক জান্তা চার সপ্তাহের মধ্যে ফরাসি সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল, ফ্রান্স গত মাসে বলেছিল যে, তারা সেখানে অবস্থানরত শত শত সৈন্যদের দল প্রত্যাহার করবে। বুরকিনার প্রধানমন্ত্রী অ্যাপোলিনায়ার কাইলেম ডি টেম্বেলা সম্প্রতি বলেছিলেন যে, রাশিয়া বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি ‘যুক্তিসঙ্গত’ শক্তিশালী মিত্র হিসাবে কাজ করবে। তার কয়েকদিন পরেই ফ্রান্সকে সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছিল।
একবার এ অঞ্চলে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতি হ্রাস পেলে, তাদের প্রস্থান আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক চিহ্নিত করবে। প্রতিবেশী দেশ মালিতেও জান্তার দাবিতে এক দশক পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ২০২২ সালে সেখানে সন্ত্রাসী বিরোধী বারখানে মিশন বন্ধ করে দেন।
এদিকে ফরাসি বাহিনী এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ায় রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটেদের উপস্থিতি বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় বুরকিনা ফাসো, মালিসহ তিনটি দেশকে ২০২০ সালে ইকোনমিক কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস) এর সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। সূত্র: উইওনিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন