যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাঙামাটির রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়েছে।
চীবর দান উপলক্ষে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দেশ-জাতি তথা জগতের সকল প্রাণীর হিতসুখ মঙ্গল কামনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের (ধর্মীয় গুরু) কাছ থেকে পঞ্চশীল গ্রহণ করেছেন। এরপর বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান, কল্পতরু দান, পিন্ডিদানসহ নানাবিধ দান সম্পন্ন হয়। বিকেলে ভান্তেদের কঠিন চীবর দানের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে চীবর দানোৎসব।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন তীর্থস্থানখ্যাত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে দুদিন ব্যাপী ৪৯তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হয় বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর)।
এদিন বিকালে বেইন কর্মীদের পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রথম দিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। এরপর বেইন ঘর উদ্বোধন, সুতা লাগানো, রঙ করা, রাতভর বেইনবুনাসহ প্রথমদিনের অন্যান্য ধর্মীয় কাজ করা হয়। দ্বিতীয় দিন (৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় কঠিন দান অনুষ্ঠানের শেষ দিনের আনুষ্ঠানিকতা।
শেষ দিন কঠিন চীবর দানোৎসবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন