ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী(ফুলপুর-তারাকান্দা)-র জাতীয় সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ এমপি বলেছেন দূর্ণীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তারেক রহমান সুদূর লন্ডনে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।আপনার মামলা কিন্তু আওয়ামীলীগের শাসনামলে হয়নি।এই মামলা হয়েছে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।আপনি লন্ডনে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চান।এই সুযোগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সন্তানেরা কখনও মেনে নেবেনা।আমি তারাকান্দায় বিএনপির ভাইদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই তারাকান্দায় আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে প্রয়োজনে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করবো।আমাদেরকে আন্দোলন সংগ্রামের ভয় দেখাবেননা।স্বাধীনতা বিরোধী সৈরাচারী বিএনপি-জামাত জোট শক্তিকে আমরা রাজপথেই মোকাবেলা করবো।
৪ নভেম্বর(শুক্রবার)সন্ধ্যায় তারাকান্দা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ১ নং তারাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ক্রিবার্ষীক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন,আপনারা জানেন এবং বুঝেন আমি যদি ভুল না বলি সাবেক বিএনপি-জামাতের জোট সরকারের আমলে খাম্বা চুরির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমান।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্ণীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী খালেদা জিয়া।সংবিধান বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রের মূল দলিল।সেই সংবিধানে লেখা রয়েছে বিজ্ঞ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত কেউ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেননা।আপনারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখেন।এই বাংলাদেশে তা কখনও সম্ভব হবেনা।
জনাব শরীফ এসময় আরও বলেন,বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে কানাচে যত উন্নয়ন হয়েছে সব হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে।বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার হাত ধরে যে উন্নয়ন হয়েছে তার ফলে গড়ে উঠেছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু।মেট্রোরেল চালু হবার পথে।আপনারা টিভিতে শুনেছেন খালেদা জিয়া বলেছিলেন পদ্মা সেতু করা সম্ভবনা।যখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু তৈরী করে ফেললেন তখন তিনি বললে পদ্মা সেতুতে কেউ গেলে ব্রীজ ভেঙ্গে পদ্মা নদীতে পড়ে যাবেন।এখন কেউ কি পদ্মা নদীতে পড়েছেন।আপনারা অবশ্যই সেতুটি দেখতে গেছে যদি না গিয়ে থাকেন তাহলে আমি গরীব মানুষ হিসেবে কয়েকটি বাসে করে পদ্মা সেতুটি পাড়াপাড় করিয়ে দেখাবো।দেখবেন কেউ পড়ে কিনা ?
তারাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবি আকন্দের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকারের সঞ্চালনায় আয়োজিত ত্রিবার্ষীক সম্মেলনে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন তারাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফজলুল হক,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী রনু ঠাকুর,সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া সরকার,সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য মেজবাহ-উল আলম রুবেল চৌধুরী,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আজারুল ইসলাম সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন,সালমা আক্তার কাকন,এপিএস হাবিবুর রহমান যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নানসহ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে বিকাল তিনটা থেকে সম্মেলন চত্বরে ব্যানার ফেস্টুন হাতে আসতে থাকেন আওয়ামীলীগের পদ প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ।প্রতিমন্ত্রীর ভাষনে পূর্বে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে সম্মেলন চত্বর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন