শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মারপিট করতেন শিক্ষকরা, রাজবাড়ীতে ১২ দিন ধরে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র

রাজবাড়ী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৪:১৩ পিএম

রাজবাড়ী শহরের দারুল উলুম ভাজনচালা দাওরায়ে হাদিস মাদ্রাসার ছাত্র আশিকুর রহমান আশিক (১৪) ১২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।

এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আশিকের বাবা আক্তার খান। তিনি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বড়হিজলী গ্রামের বাসিন্দা।

শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আক্তার খান জানান, তিনি তার ছেলে আশিককে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী শহরের দারুল উলুম ভাজনচালা দাওরায়ে হাদিস মাদ্রাসায় হেফজ শাখায় ভর্তি করেন। মাদ্রাসার শিক্ষকরা মাঝেমধ্যেই তার ছেলেকে মারধর করতো। যে কারণে এর আগে একবার তার ছেলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।

‘সবশেষ গত ২৪ অক্টোবর তার ছেলে মাদ্রাসা থেকে আবারও পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। পরদিন ২৫ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে নিজের সম্মতিতেই তার ছেলে বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা হয়। তার ভাস্তিজামাই লিপন ভ্যানগাড়িতে করে তার ছেলেকে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদ্রাসার সামনে নামিয়ে দেন। ২৬ তারিখ রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি ছেলের খোঁজখবর নেয়ার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক মানছুর এলাহীকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরদিন রাত ৯টার দিকে তিনি ছেলের খোঁজ নেয়ার জন্য অন্য এক শিক্ষককে ফোন করলে সেই শিক্ষক জানান আশিক মাদ্রাসায় নেই।’
আক্তার খান জানান, পরে তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ পান। এরপর তিনি সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের কোনো সন্ধান না পেয়ে ১ নভেম্বর রাজবাড়ী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

তিনি জানান, একমাত্র ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রী পাগলপ্রায় হয়ে গেছেন। তার ছেলেকে খুঁজে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আক্তার খান।

দারুল উলুম ভাজনচালা দাওরায়ে হাদিস মাদ্রাসার শিক্ষক মানছুর এলাহী জানান, আশিক কয়েকবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। সবশেষ গত ২৪ অক্টোবর সে পালিয়ে বাড়ি গিয়ে আর মাদ্রাসায় ফিরে আসেনি। গত ২৬ অক্টোবর থেকে মাদ্রাসা মাসিক ছুটি হয়ে যায়। এখনও মাদ্রাসা ছুটির বন্ধ রয়েছে।

আশিকের বাবার করা জিডি তদন্ত করছেন রাজবাড়ী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন রেজা। তিনি জানান, মাদ্রাসাছাত্র আশিককে খুঁজতে তারা কাজ করছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
hassan ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৩৩ পিএম says : 0
বাংলাদেশে অনেক মাদ্রাসা আছে এই মাদ্রাসার শিক্ষকরা বাচ্চাদেরকে জঘন্যতম ভাবে প্রহার করে এইসব শিক্ষককে জঘন্যতম হবে প্রহার করা উচিত আমাদের নবী সালাম কাউকে প্রহার করেন নাই এরা শিক্ষা দিতে জানে না এরা অশিক্ষিত মূর্খ এই মাদ্রাসার শিক্ষক গুলো এদের মধ্যে মানবতা নাই বাংলাদেশের সরকারের মত
Total Reply(0)
মুহাম্মদ ইসমাঈল বুখারী ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৫২ পিএম says : 0
শিরোনাম ঠিক হয়নি।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন