রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের জনবল কাঠামো ও অর্গানোগ্রাম প্রণয়নে গঠিত কমিটি সম্প্রতি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। তাতে ২০১০ সালে দেয়া ৮৯জনকে পদোন্নতি ছিল অবৈধ। এই ৮৯ জনের মধ্যে বর্তমানে ১২ জন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে কর্মরত আছেন। তারা এখন সপ্তম গ্রেডে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন।
২০১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ৪৪নং সংস্থাপন স্মারকে একটি বিশেষ অফিস আদেশ জারি করা হয়। ওই আদেশে শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন শাখার শাখা সহকারী, নিম্নমান ও উচ্চমান সহকারী, হিসাব সহকারী, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক, সাঁটলিপিকার এবং সমমানের পদে কর্মরত ৮৯ জন কর্মচারীকে একযোগে ‘প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ নামে একটি অস্তিত্বহীন পদে পদোন্নতিসহ জ্যেষ্ঠতা প্রদান করা হয়।
এদিকে পদোন্নতির পর তাদের দায়িত্ব, সুবিধাদি, কর্মপরিধি, ও নিজ বেতন স্কেল অপরিবর্তিত রাখার কথাও বলা হয় ওই আদেশে। পদোন্নতি ঘোষণার পর এসব কর্মচারি জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেড পাওয়ার অধিকারী ছিলেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদারকির অভাবে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অধিকাংশই ইচ্ছামতো একধাপ উপরের অষ্টম গ্রেডে উঠে পড়েন।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চলমান জনবলের পদোন্নতি, জ্যেষ্ঠতা, বেতন- সুবিধাদি ইত্যাদি বিষয়ে বিদ্যমান ব্যাপক অসঙ্গতির বিষয়; যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে- সাবেক মুখ্য সচিবের আধাসরকারি পত্রটিকে পুঁজি করে পদোন্নতি ও জ্যেষ্ঠতার আদেশ জারি ও কার্যকর করা হলেও ওই পত্রটির সঙ্গে রাজশাহী বোর্ডের এসব পদোন্নতির কোনো সম্পর্কই ছিল না। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিরীক্ষা করলে বিষয়টিতে ব্যাপক অসঙ্গতি ও ত্রুটি অনিয়ম ধরা পড়ার কথা; কিন্তু বছরের পর বছর তাও করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর হাবিবুর রহমান বলেন, ২০১০ সালে পদোন্নতির সময় কারো যোগ্যতা যাচাই করে দেখা হয়নি। ওই পদোন্নতির কারণে শিক্ষা বোর্ডের জনবল কাঠামোতে এখনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নতুন করে একটা জনবল কাঠামো তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এর মাধ্যমে বোর্ডের জনবল কাঠামোয় শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশা করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন