এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তৈরি প্রশ্নটি কুমিল্লা বোর্ডের নয়। যদিও আলোচিত প্রশ্নটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে এটি কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্ন। এ বিষয়ে কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সোমবার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কারভানে তুলে ধরেন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.জামাল নাছের বলেন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তা ভুল। আমি গতকাল (রোববার) অনুষ্ঠিত বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষাসচিব মহোদয়কে পাঠিয়েছি। কারা এমন বিভ্রান্তি ছড়াল, তা আমার বোধগম্য নয়।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, যে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, তা কি গোপন থাকে? শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র আছে। যে কেউ চাইলে দেখতে পারেন আসলেই কি এমন প্রশ্ন ছিল কি না। শুধু এটুকুই বলব, যা প্রচার হয়েছে তার সঙ্গে কুমিল্লা বোর্ডের কোনো রকম সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, প্রশ্নটি ঢাকা বোর্ডের।এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্নটি কুমিল্লা বোর্ডের নয়
ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় রয়েছে আলোচিত প্রশ্নটি
কীভাবে এমন প্রশ্ন এসেছে, তা নিশ্চিত নন জানিয়ে তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন এটি, তবে অন্য বোর্ডের মাধ্যমে এসেছে। কোন বোর্ড বা কারা কারা এটার সঙ্গে জড়িত ছিল, তা আমরা চিহ্নিত করছি।আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। তদন্ত করার পর ব্যবস্থা নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন