লক্ষ্মীপুরে পৃথক দুই হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-াদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদপ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নান সুমন হত্যা মামলায় কাউছার, খোরশে আলম, সোহেল রানা, সোহাগ, রাব্বী ও কালা শাহাদাতসহ ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় দুইজনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। ভিকটিম সুমন উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন। অপরদিকে হানিফ হত্যা মামলায় দিদার হোসেন ও ফারুক হোসেন নামের ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় ৬ জনকে অব্যহতি দেওয়া হয়। মামলার আসামি ইলিয়াস কোবরা মারা যাওয়ায় তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা সবাই সদর উপজেলার দত্তপাড়া, গোপালপুর ও দক্ষিণ মাগুরী গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ছেলে সাইফ হান্নানকে নিয়ে রিকশাযোগে সুমন বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আসামিরা তার গতি রোধ করে। এসময় আসামিরা তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে মৃত ভেবে আসামিরা পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর ভিকটিমের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছিল।
অপর মামলার এজাহার সূত্র জানায়, চাঁদার দাবিতে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসামিরা হানিফকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১৫ মে হানিফের বোন মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন