শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পটুয়াখালীতে ১১ ঔষধ প্রতিনিধিকে জেল-জরিমানা মুক্তির দাবিতে ঔষধ সরবরাহ বন্ধ ঘোষনা।

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪৫ পিএম

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে রোগীদের হয়রানী করার অভিযোগে ১১ ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও র্নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রট আব্দুল কাইয়ূম এ অভিযান পরিচালনা করেন। এদিকে দন্ডিত হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে ঔষধ সরবরাহ বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন পটুয়াখালী ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টিভ এ্যাসোসিয়শন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-এস কে এফ ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানীর পটুয়াখালী মেডিক্যাল বেইজ এর এরিয়া ম্যানেজার মো:আজিজুল হক সোহাগ(৪৮), বিকন ফার্মাসিটিক্যালে‘র এরিয়া ম্যানেজার আলমগীর হোসেন (৪৫) সার্ভম্যান রবিউল ইসলাম(৩৩),বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল‘র এরিয়া ম্যানেজার রঞ্জন দাস(৩৯) ক্যামিষ্ট ফার্মারসিটিক্যাল‘র এরিয়া ম্যানজার মিজানুর রহমান(৩৭)ও রবিউল ইসলাম(৪০) এবং কিরন মোল্লা(৩৯), রেনেটা ফার্মাসিটিক্যাল‘র বিক্রয় প্রতিনিধি ফেরদৌস আলী(৪৫), রেডিয়ানট ফার্মাসিটিক্যাল আব্দুর জব্বার(৩৫)। উল্লখিত এই ৯ জনক সাত দিনের কারাদন্ড ও ৫শ শত টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে । এছাড়াও ইউনিমেট হেলথ জালিস মাহামুদ, বিকন ফার্মার এনামুল হককে এক হাজার করে জরিমানা করা হয়েছে । জরিমানায় দন্ডিত হওয়া দুই ব্যক্তির সহকর্মীরা বলেন -জালিস মাহামুদ ও এনামুল হক নির্দোষ। তারা করোনা টিকা দিতে আজ হাসপাতাল এসে দন্ডিত হয়েছেন।

 

এদিক জেল-জরিমানার ঘটনায় পটুয়াখালী ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজটটিভ এ্যাসাসিয়েশন ঔষধ সরবরাহ এবং চিকিৎসকদর ভিজিট বন্ধ ঘোষনা দিয়ছন। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী ফার্মাসিটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এ্যাসাসিয়শনের সভাপতি রকিবুল হাসান বলেন-বিনা অপরাধে ৮ নভেম্বর দুপুরে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল চত্বরে অব¯ানরত ১১ ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের জেল-জরিমানা করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন, যা একবারে অহেতুক। তাদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত ঔষধ সরবরাহ এবং চিকিৎসকের ভিজিট বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে । সুষ্ঠু সমাধান না হলে আগামীকাল বুধবার ৯ নভেম্বর আমরা মানবন্ধন ও বিক্ষাভ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করবো।

অপরদিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ কলজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি সেবা নিতে আসা রোগীদর কাছ থেকে জোর করে ব্যবস্থাপত্র ছিনিয়ে নেয় ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। ছিনিয়ে নেয়া ক্ষেত্রে তারা নারী-পুরুষ মানছেনা। যা নিয়ে রোগী ও ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির সঙ্গে বাকবিতন্ডা লেগেই থাকে। তাছারা এসকল প্রতিনিধিরা চিকিৎসককে অন্যায় ভাবে ব্যবস্থাপত্র লিখতে প্রভাবিত করেন, এতে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই তাদের প্রতিহত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন