আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ জানান, ওইদিন বেলা আড়াইটা থেকে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ দেশের যেকোনো সংকটে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে উল্লেখ করে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ১১ নভেম্বরের পর যুবলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াত ও তাদের অনুসারীরা যদি রাজপথে নৈরাজ্য করার চেষ্টা করে তবে তা প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ৯২ দিনের হরতাল দেশবাসী ভুলে যায়নি। হরতাল চলাকালে বিএনপি-জামায়াত চক্র অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে এবং মোট ৫৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
যুবলীগের মহাসমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যুব সমাবেশ সফলভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য মোট ১০টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, তাজউদ্দিন আহমেদ, জুয়েল আরেং, আনোয়ার হোসেন, শাহাদাত হোসেন ও ডা. খালেদ শওকত আলী, যুগ্ম মহাসচিব মো. বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ও মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু ও মো. সোহেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন