সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল খুনের ঘটনার দুদিন পর ছাত্রলীগ ক্যাডার সম্রাটকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বড় ভাই মইনুল হক। গত মঙ্গলবার মামলা করা হয় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায়। এজাহারে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে এজাহারের ৫ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত কুটি মিয়া নগরীর বড়বাজার গোয়াইপাড়া এলাকার মৃত. নুর মিয়ার ছেলে। হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব ও পুলিশ। অভিযুক্তরা বারবার নিজেদের জায়গা ও মোবাইল ফোনের নাম্বার পরিবর্তন করায় তাদের অবস্থান শনাক্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত রোববার রাত ৮টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দুটি মোটরসাইকেল। তাতে আরোহী ছিলেন তিনজন। পরে আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি বড়বাজার ১১৮ নম্বর বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুনিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে নিহতের বড় ভাই ময়নুল হক বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগ ক্যাডার আজিজুর রহমান সম্রাটকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো পাঁচ থেকে ছয়জন। আসামিদের মধ্যে ৫ নম্বর আসামি কুটি মিয়াকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ।
এসএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ইনকিলাবকে বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে আজিজুর রহমান সম্রাটসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি করা হয়ে অজ্ঞাতনামা আরো ৪ থেকে ৫ জনকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন