সম্প্রতি পরিবেশবাদী একটি সংগঠনের দায়েরকৃত রিটের প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল, বগুড়া, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বগুড়ার ইটভাটা মালিকরা প্রশ্ন তুলেছেন, পরিবেশ আইনের ব্যত্যয় হলে সারা দেশেই হয়েছে। অতএব এসংক্রান্ত রিট হলে সারাদেশের প্রত্যেক জেলার ইটভাটার বিরুদ্ধেই হবে। শুধু বেছে বেছে বগুড়াসহ ৪ জেলায় কেন ? গতকাল বুধবার বিকেলে বগুড়ার একটি হোটেলের সেমিনার কক্ষে বগুড়া জেলা ইটভাটা মালিক সমিতি আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে লিখিত বক্তব্যে উপরোক্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এখন ইঁটভাটা পরিচালনা করতে লাগে ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই লাইসেন্স, কলকারখানা লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, আয়কর, ভ্যাট, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র। এই আট শর্ত পুরণের পর সরকারি বিধি মোতাবেক বগুড়ায় প্রায় শতভাগ জিগজ্যাগ পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয় ইটভাটা। তারপরও যদি বগুড়ায় ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে হাজার শ্রমিক বেকার ও তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এস এম আতিকুর রহমান বলেন, বগুড়ায় ইটভাটাগুলো বন্ধ হলে অন্য জেলার ইটের ওপর, ঠিকাদার, ডেভলপার, নির্মাতারা বেকায়দায় পড়বে। তাদের বর্ধিত মুল্যে অন্য জেলার নিম্নমানের ইট ব্যবহারে বাধ্য হবে। থমকে যাবে উন্নয়ন প্রকল্প।
সংবাদ সম্মেলনের আগে একইস্থানে ইটভাটা মালিক সমিতির এক জরুরি সভা অনুুুষ্ঠিত হয়। সভায় মালিক সমিতির দেড়শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় হাইকোর্টের রুলের প্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন