পিরোজপুরের নাজিরপুরের গত ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর পালনকালে উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষর ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় নাজিরপুর থানায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১০০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ সহ ২০০ জন অজ্ঞত অাসামি করে মামলায় দায়ের করা হয়,নাজিরপুর থানার মামলা নং-৮৬/২২,সেই মামলায় ১৮ নেতা-কর্মী হাই কোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পায়, পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ এর আদালতে সেচ্ছায় হাজির হন মোঃ মিজানুর রহমান দুলাল, সাবেক সভাপতি উপজেলা বিএনপি, মোঃনজরুল ইসলাম খান,সভাপতি উপজেলা বিএনপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান,এম আনোয়ারুল ইসলাম পলাশ, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল সদস্য,মো:রেজাউল করিম লিটন, সাধারন সম্পাদক উপজেলা, মো:হিরুয়ার রহমান মোল্লা (সাবেক সদস্য জেলা বিএনপি পিরোজপুর) এই ৫ নেতার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।এখবরে অাদালত চত্ত্বরের বাইরে থাকা বিপুল সংখ্যক জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীর বিক্ষোভ মিছিল করেন।এ সময়ে নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্মঅাহবায়ক ও যুবনেত রাসেল সিকদার বলেন মিথ্যা মামলায় নেতাদের জেল দিয়ে,জুলুম করে এই সরকার বেশিদিন টিকতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুহা: মহিদুজ্জামান এ আদেশ প্রদান করেন।
এদিকে এ বিষয়ে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী এড. আবুল কালাম আকন জানান, অাসামিরা অাইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলো। তাদের বিরুদ্ধে আনিত যে অভিযোগ তা জামিন দেওয়ার যোগ্য কিন্তু জজ সাহেব কেন জামিন দেন নাই এটা তার বিবেচ্চ বিষয়।তবে অামরা ন্যায় বিচারের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে জামিন অাবেদন করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন