বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

পিত্ত পাথুরিতে পথ্য ব্যবস্থাপনা

নাজিয়া আফরিন | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয় এবং কাদের বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে
দীর্ঘসময় ধরে না খেয়ে থাকলে এবং বছরের পর বছর খাবারে অনিয়ম করলে, পিত্তথলির পিত্তরস ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তখনই তৈরি হয় পিত্তথলিতে পাথর। এই পাথর শুধু খাবারে অনিয়মের জন্য নয়; ভেজাল খাবার, রক্তে চর্বির মাত্রা বৃদ্ধি, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং পারিবারিক কারণেও হতে পারে। এছাড়াও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আরও অনেক কারণই থাকতে পারে। শরীরে চর্বি বেশি জমলে, পানি কম খেলে, রক্ত বেশি ভাঙলে, এরকম পাথর জমতে পারে। তবে পিত্তরস কোনো কারণে ঘন হলে এ আশঙ্কা বেড়ে যায়। সাধারণত পাঁচটি এফ থাকলে এ পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এগুলো হলো ফ্যাট, ফিমেল, ফেয়ার, ফার্টাইল এবং ফোরটি। অর্থাৎ, চল্লিশোর্ধ্ব, ফরসা, স্বাস্থ্যবতী, নারী ও যাদের বাচ্চা আছে, পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা তাদের বেশি থাকে।

পিত্তথলিতে পাথর হলে কি ধরনের খাবার বা পথ্য খেতে হবে
বিভিন্ন রকম ফল ও ফলের রস : পিত্তথলিতে পাথর হলে শশা, আপেল, গাজর, বীট, নাশপাতি জুস করে খেলে ভালো। তবে অবশ্যই চিনি না মিশিয়ে বরং আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
হলুদ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা গ্রহণে পিত্তথলি থেকে প্রায় ৮০% পর্যন্ত পাথর দূর হতে পারে।

শষ্য ও দানা জাতীয় খাবার : শষ্য ও দানা জাতীয় খাবার ট্রাইগিøসারাইড ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে পিত্তথলির পাথর তৈরিতে বাধা দেয়।

অ্যালেভেরা, ইসুবগুল, তোকমা দানা, ওলট কম্বল ডালের রস : অ্যালেভেরা, ইসুবগুল, তোকমা দানা, ওলট কম্বলের ডালের থকথকে রস পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতায় আছে লৌহ, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, মেন্থল, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং এসেন্সিয়াল ওয়েল যা কিনা শক্তিশালী জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং পিত্তথলিতে হওয়া প্রতিরোধ করে।

পিত্তথলিতে পাথর হলে কি ধরনের খাবার না খাওয়া ভালো
১. সব ধরনের চর্বিযুক্ত ও দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ২. উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন লাল মাংস, মুরগির মাংস, ডিম বাদ দিতে হবে। ৩. সব রকমের প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত ও বেকড খাবার বাদ দিতে হবে। ৪. চা, কফি ও তামাক গ্রহণ করা যাবে না। ৫. চিনি, ভাজাপোড়া ও টকজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
এ রোগ প্রতিরোধে কী করা উচিত
ভালো খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও দৈনিক ২.৫-৩ লিটার পানি পান করতে হবে।

স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মকর্তা
মানবিক সাহায্য সংস্থা
এবং সিনিয়র পুষ্টিবিদ (এক্স), কিংসটন হাসপাতাল

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন