সন্তানকে ঘিরে প্রত্যেক পিতা-মাতারই অনেক স্বপ্ন বা আশা থাকে। যেমন: তারা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করে স্বনির্ভর হবে এবং পরিবারের দায়িত্ব নেবে। কিন্তু বয়স তো এত সীমা মানে না বা এত আশার বাস্তবায়ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে না। এজন্য প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ-তরুণীরা বিয়ে করতে ইচ্ছুক হলেও লজ্জার কারণে কিংবা পরিবার এটাকে কীভাবে নেবে, এই ভেবে বিয়ের কথা পরিবারকে জানাতে পারে না। ফলে অধিকাংশ তরুণ-তরুণী অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তারা পড়াশোনায় মন না দিয়ে প্রেম-ভালোবাসার নামে বিভিন্ন জায়গায় গল্প-আড্ডা, ফেসবুকে চ্যাটিং, অশ্লীল বা রুচিহীনভাবে মেলামেশা ইত্যাদি করে সময় অতিবাহিত করে। আর এধরনের কার্যাবলি সমাজের সুষ্ঠু পরিবেশকে নষ্ট করে। যা কখনই কাম্য নয়। একপর্যায়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। যা পরিবারের সম্মান ও মর্যাদার পরিপন্থী কাজ। পিতা-মাতার নিকট এই ধরনের আচরণ বা কাজ অসহনীয় কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই পিতা-মাতার উচিত, প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া, যাতে বিয়ের পর তারা (স্বামী-স্ত্রী) বৈধভাবে পরস্পর প্রেম- ভালোবাসা করতে পারে। এটা সামাজিকভাবেও দোষনীয় হবে না। বিয়ে করার কারণে তারা অন্য দিকে মনোযোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবে। ফলে মনোযোগ সহকারে তারা তাদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারবে। সমাজ হয়ে উঠবে সুন্দর, শান্তিময় ও অশ্লীলতামুক্ত। সুতরাং এ বিষয়টা সকলের গুরুত্ব সহকারে দেখা এখন সময়ের দাবি।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন