গত ১২ নভেম্বর ফরিদপুর বিত্রনপির গনসমাবেশ পরবর্তি মঙ্গলবার(১৩ নভেম্বর) সমাবেশে জনতার ঢল। নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা হয় রাজনৈতিক নেতা এবং বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে। তারা কে কিভাবে মতামত দিলেন তা নিম্নরূপ
বিগত ১৪ বছর পর গত ১২ নভেম্বর, অনুষ্ঠিত হলো বিত্রনপির গনসমাবেশ। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বৃহওর ফরিদপুরের সাধারন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছো ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। তারা বলছেন, এত বাধার মুখেও ফরিদপুরে বিত্রনপির এত বড় সমাবেশ হবে এটা কেউ স্বপনেও ভাবেননি। বিশেষ করে ফরিদপুরে ৩৮ ঘন্টা পরিবহন ধর্মঘট থাকার পরও জনতার ঢল নামে। লঞ্চ ট্রলারও বন্ধ ছিলো তারপরও একজন কর্মীকেও কেউ আটকে রাখতে পারেননি কেউ। ফরিদপুরে বিত্রনপির জনতার ঢল এ কথা এখন মানুষের মুখে। এই বিষয় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিত্রনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেন। ফরিদপুর প্রাধানমন্ত্রী জেলা, এখনকার মানুষ সেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামীলীগ কে প্রত্যাখ্যান করছেন। এটাই জনতার ঢলের প্রমান। তাদেরকে দেশবাসী আর ক্ষমতায় দেখতে চান। মানুষ এখন বাজারে গেলে পাগল হয়ে যায়। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্বগতিতে মানুষের মনে নাভিশ্বাস জমেছে। খেটে খাওয়া মানুষ অনেক কষ্টে আছে। চাল কিনলে তেল কিনতে পারে না, তেল কিনলে চাল কিনতে পারে না। বিত্রনপি দেশের কথা বলে, দেশের মানুষের কথা বলে, মানুষের অধিকার নিয়ে কথা, আওয়ামীলীগ কে দেশবাসী এখন বিশ্বাস করে না,তারই প্রমান ফরিদপুরের এই জনতার ঢল।
ইনকিলাবের সাথে কথা বলে সমাবেশে জনস্রোত প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন, ঢাকা উওর মহিলাদলের আহবায়ক কামাল ইউসুফ কন্যা নায়াব ইউসুফ আহম্মেদ, তিনি বলেন এই অবৈধ ভোট চোর সরকারকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ প্রত্যাখ্যান করছেন।
তিনি বলেন ফরিদপুরে যে আওয়ামীলীগের খ্যাতি নাই, আওয়ামীলীগ কে কেউ ভালবাসে না তা চড়ের গনমানুষ প্রমান করছেন গনসমাবেশে এসে।আমি মনে করি,, দেশ মাতার মুক্তি বাংলার জনগন চায়।ফরিদপুরের লক্ষাধিক মানুষের ঢল প্রমান করছেন,দেশবাসী বেগম জিয়ার মুক্তি চায় এবং আগামীদিনের প্রাধানমন্ত্রী তারেক রহমানেরও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন চায়। লক্ষ জনতা আওয়ামীলীগের বিদায় জানিয়ে গেল। প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুবদলের সদস্য ফরিদপুর জেলা বিত্রনপির যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ আতাউর রশিদ ইনকিলাবকে বলেন
আওয়ামীলীগ কে আর না। বিদায় আওয়ামীলীগ এটাই জানান দিয়েছেন ফরিদপুর গনসমাবেশে জনতার ঢল।
বল বল জনতাই এখন বিত্রনপির শক্তি বিত্রনপির বল।
দেশে আওয়ামীলীগের অত্যাচার অনাচার,দেশের অর্থ পাচার,জুলুম নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মুল্যবৃদ্বির বিরুদ্ধে এবং গনমানুষের পক্ষে বিত্রনপি কথা বলার কারনে সাধারন মানুষ বিত্রনপির পাশে দাঁড়িয়েছন। আর নয় আওয়ামীলীগ। তিনি বলেন শুধু নগরকান্দা মহিলা রোডের ৫০ হাজার বিশাল মিছিলের সাথে কমপক্ষে ২০ হাজার লোক ছিল নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষ। এরা রাজনীতি বুঝে না। এদের সাফ কথা আমরা এখন আর যন্ত্রনা সইতে পারছি না। আমরা আওয়ামীলীগ চাই না। বিত্রনপি যেদিক যাবে আমরা সেদিক যাবো।
কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন সেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ আর না। এই দাবিতেই সাধারন মানুষের ঢল নামে। বাবলু আরো বলেন কোমরপুরের সভাবেশ মঞ্চের আশ পাশের প্রত্যকেটা অলিতে গলিতে ধানক্ষেতের পাশে কাচা পাকা রাস্তায়ও হাজার হাজার মা,বোন,কিশোর যুবক যুবতিরা আওয়ামীলীগ কে বিদায় জানাতে জনতার এই জনস্রোতে একাত্ব ঘোষনা করছেন এটাই জনঢলের কারন। ফরিদপুর মহানগর যুদলের সভাপতি বেনজির আহম্মেদ তাবরিজ ইনকিলাবকে, অনির্বাচিত সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ সাধারন মানুষ।তাই বিত্রনপির সকল সমাবেশে তারা নিজেদের ইচ্ছায় সরকারের সকল কর্মকান্ডের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ বিত্রনপির গনসমাবেশ যোগ দিয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই।এটা সারা দেশব্যাপী এখন সাধারন মানুষের প্রতিবাদ। ফরিদপুরে এর ব্যাতিক্রম নয়। সাধারন মানুষের মুখেও প্রতিবাদ ফুটে উঠছে তার প্রমান ফরিদপুরের জনতার ঢল। ফরিদপুরের সিনিয়র দলিল লেখক মেঃ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হয় ইনকিলাবের সাথে, তিনি বললেন, ভাই বিত্রনপির লোকতো এমনিতেই মিছিলে গেছে,, সাধারন ও বিত্রনপির মিছিলে গিয়ে সমাবেশে যোগ দিছে, কারন আওয়ামীলীগ কে এখন তারা মন থেকে আর চায় না।এটাই তার প্রমান। ফরিদপুর সদর থানার মোহনের বাজারের অটো চালক মুন্নার সাথে কথা বললে তিনি ইনকিবকে জানান, ভাই আমি প্রতিদিন অটো চালাই ১২ তারিখ বিত্রনপির সমাবেশে গেছিলাম। তারা দেশের কথা, গরীব মানুষের কথা বলছেন শুনে ভাল লাগছে। এখন থেকে বিত্রনপির সব মিটিংয়ে আমরা সবাই যাবো কেউ ঠেকাতে পারবে না। জনতার ঢল দেখে গায় পাইছি অনেক বল। কারন আমি বিত্রনপি।
ফরিদপুর গোলাডাঙ্গীর মানুষ পেশায়, কামার তিনি ইনকিলাব বললেন, ওরে লোক বিত্রনপির সমাবেশে এত লোক দেখে আমার মাথা নষ্ট। এতো লোক কোথা থেকে আসছে জানি না। ঐ দিন কাজে যাইনি সমাবেশে দেখতে আর নেতাদের বক্তব্য শুনতে গেছি। মনে হলো আওয়ামীলীগ শেষ। প্রশ্ন করলাম ১০ মাইল পথ কিভাবে গেলেন। সে বলল পায়ে হেঁটে। কামারখালির নাহার বেগম ৮ বছরের সন্তান নিয়ে সমাবেশে আসছেন, রাজবাড়ি উজান চড়ের স্কুল ছাত্রী শেফালি, গোয়ালন্দের হিজড়া বর্নের তথা তৃতীয় লিঙ্গের ৪ পরুষ আদলের নারী, ফরিদপুর মুন্সিবাজের বেদে পল্লীর ৩০/৪০ বেদে সমাবেশস্হল ঘুরতে আসছে, মুন্সিগঞ্জ মিরাকাদিম থেকে আগত রহমান মাঝি, শিবচরের সাপুরে আজমত, ভাঙ্গার কাঠ মিস্ত্রী নিমাই এবং রাজবাড়ি কালুখালী থেকে আগত প্রায় শতাধিক হিন্দু বাদক দল তাদের মুখেই একটাই কথাই ছিল। দেশে চলছে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটাপাট, আর খালেদা বড়া মানুষ তারে অল্প কয়ডা টাকার মামলায় মিথ্যাভাবে জেলে আটকাইছে। এটা বড়ই দুঃখের বিষয়। তাই সমাবেশে শুইনা আমাগেরও খারাপ লাগলো। আসলেই এই সরকারের বিদায় হওয়াই ভাল।
তারেক রহমান দেশের ছািয়াল, মায়ের বুক থুইয়া কত দুরে। আমরা এই সরকারকে আর চাই না। এইজন্যই মেরা বিত্রনপির পাশে দাড়াইছি। মনে হইছে আওয়ামীলীগ শেষ, খালেদা তারেকেরই বাংলাদেশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন